রহমত ডেস্ক 13 February, 2022 06:35 PM
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পরিবেশ, বন, বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্য নিয়েই লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যাচাই বাছাই ও গবেষণার করে লাঠিটিলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ সাফারি পার্কটি নির্মিত হলে লাঠিটিলা বনাঞ্চল অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং বন সংরক্ষিত থাকবে।
রাজধানীর বন অধিদপ্তরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে প্রণীত মহাপরিকল্পনা ও ডিপিপি অনুমোদনের লক্ষ্যে আয়োজিত এক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সাফারি পার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে প্রণীত মহাপরিকল্পনা কর্মশালায় উত্থাপিত প্রস্তাবসমুহ অন্তর্ভূক্তি সাপেক্ষে অনুমোদন করেন বনমন্ত্রী। প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনায় সাফারি পার্কের মোট আয়তন ৫ হাজার ৬৩১ একর, যার মধ্যে মূল সাফারি পার্কের আয়তন ২৭০ একর। ৮৭০ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২২-২৬ সালের মধ্যে সাফারি পার্কটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বনমন্ত্রী বলেন, সাফারিপার্ক এলাকায় বসবাসরত মানুষের ঐক্যমত এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের মতামত বিবেচনায় নিয়ে এই সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতঃপূর্বে নির্মিত দু’টি সাফারি পার্কের অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগানো হবে। যাতে আর কোনও বন্যপ্রাণির মৃত্যু না হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকা ও বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা এ সাফারি পার্কে এসে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি প্রাণির বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারবে। বর্তমানে সরকারি এ বনভূমির অভ্যন্তরে অবৈধভাবে বসবাসরত পরিবারগুলোর মধ্যে ৩৭টি পরিবারকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন এবং অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক প্রমুখ। সাফারি পার্কের মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক স্থপতি ইশতিয়াক জহির এবং প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী। এছাড়া, এতে বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।