নির্বাচনী সহিংসতায় ইসির কোনো দায় নেই

নির্বাচন কমিশন-ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সার্বিকভাবে ভলো হয়েছে। দু'জন ব্যক্তি নির্বাচনী সংহিসতায় মারা গেছে। তারা ভোটকেন্দ্রের বাইরে স্থানীয় গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারিতে নিহত হয়েছেন। এ দুই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় প্রশাসন। নির্বাচন কমিশন কারো জীবনহানি আশা করে না। কিন্তু এরপরও অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। এক্ষেত্রে কমিশনের ব্যর্থতা নেই। কারণ সহিংস ঘটনাগুলো স্থানীয়ভাবে সংঘটিত হয়। সরাসরি কমিশনের কোনো দায় নেই। এটা স্থানীয় প্রশাসন দেখবে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করে থাকি।

আজ (৭ ফেব্রুয়ারি) সোমবার সন্ধ্যায় ইসির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ইভিএমে ভোট পড়েছে ৬১ শতাংশ এবং ব্যালটে পড়েছে ৬৫ শতাংশ। ছয়টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। সার্বিকভাবে নির্বাচন ভালো হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে ভোটাররা কেন্দ্রমুখী হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে। এদিন ১৩৬টি ইউপিতে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে সাতটিতে নির্বাচন হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। নির্বাচনে ব্যালট পেপারে বিকেল সাড়ে পাঁচটার তথ্য অনুযায়ী ভোট পড়েছে ৬৫ শতাংশের মতো। আর ইভিএমে পড়েছে ৬১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। গণনা শেষ হলে প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে। অনিয়মে জড়িত ইসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেকে সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। অনেকের বিরুদ্ধে বিভাগী মামলা হয়েছে। এগুলোর তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে চাকরি চলে যাওয়ার মতো স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।