রহমত ডেস্ক 05 February, 2022 10:13 PM
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, কোনো পরিবারে যদি কেউ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, আর চিকিৎসা পরবর্তী সময়ে তিনি যদি এ রোগে মারা যায়, তাহলে মূলত একটি পরিবারেরই মৃত্যু ঘটে। কারণ, অনেক সময় চিকিৎসার জন্য পরিবারকে জায়গা জমি বিক্রি করে দিতে হয়। চিকিৎসা ব্যয়ের তুলনায় সাময়িক নিরাময় হলেও পূর্ণাঙ্গ নিরাময় হয় না। আগে ক্যান্সার চিকিৎসার পদ্ধতি অনেকটা জটিল ছিল। কিন্তু বর্তমানে নতুন প্রযুক্তিতে যে মেশিন আবিষ্কার হয়েছে, তাতে ক্যান্সারের চিকিৎসা সহজ হয়েছে।
আজ (৫ ফেব্রুয়ারি) শনিবার দুপুরে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে গণস্বাস্থ্য গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ক্যান্সার বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ডা. সামিম উল মওলা। প্রেজেন্টেশন দেন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. খোরশেদ আলম। আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্যান্সার বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এম এ হাই, জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হাবিবউল্লাহ তালুকদার তাসকিন, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টারস ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি। ভার্চুয়ালি অংশ নেন দক্ষিণ এশিয়ার জপ্টের প্রধান পিয়ারে ফ্রান্সেসকো, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইদ-উজ জামান অপু প্রমুখ।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ব্রাকিথেরাপি মেশিনে ক্যান্সার চিকিৎসা শুরু প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, নতুন এ মেশিনে কোনো সোর্স ব্যবহার করতে হয় না। ডিসপোজালের ঝামেলা নেই। সময় কম লাগে। এটা বাংলাদেশের প্রথম মেশিন। আমাদের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে কেমোথেরাপির ব্যবস্থা আছে, সার্জিক্যাল অনকোলজির ব্যবস্থা আছে, এখন তো ব্রাকিথেরাপির ব্যবস্থাও আছে এবং আমাদের এখানে বোন মেরু রিপ্লেসমেন্টের ব্যবস্থাও নিয়েছি। ইতোমধ্যেই আমরা রেডিএক্সেলের সবচেয়ে আধুনিক ভার্সনের অর্ডারও দিয়েছি। আশা করি আগামী ছয় মাসের মধ্যে ডিডিআর এক্সেলেটরও স্থাপন করব।