রহমত ডেস্ক 05 February, 2022 10:37 PM
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে অনুসন্ধান কমিটিকে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) অনুসন্ধান কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এমন আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কমিটির সদস্যগণের প্রতি শ্রদ্ধাভরে আমরা আবেদন করছি যে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে তারা যেন এমন ব্যক্তিদের নাম বিবেচনায় নেন, যারা তাদের ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে সততা, দলনিরপেক্ষতা, ন্যায়পরায়ণতা, বস্তুনিষ্ঠতা, সৎসাহস ও গ্রহণযোগ্যতার জন্য সুপরিচিত। একইসঙ্গে, মনোনীত ব্যক্তিদের যেনো কোনোভাবেই নৈতিকস্থলন, দুর্নীতি ও ঋণখেলাপির মতো অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকে, তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত নামের পুরো তালিকা জনগণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করার বিষয়টিও অনুসন্ধান কমিটি নিশ্চিত করবে। অনুসন্ধান কমিটির কাজ সম্পর্কে আইনে বলা হয়েছে, এ কমিটি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবে। সেটা যেন নিশ্চিত করা হয়, টিআইবি তার ওপরেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল বিভিন্ন পদে আসীন চারজন এবং দুজন বিশিষ্ট নাগরিকের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটি তাদের পদ ও অবস্থানের সম্মান রক্ষা করেই তাদের ওপর অর্পিত গুরুদায়িত্ব পালন করবেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন গঠনে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতি করে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি কমিটি ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্ম কমিশন চেয়ারম্যান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন এবং কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই অনুসন্ধান কমিটি 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২' মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পন্ন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে। এই সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দেবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।