মূল পাতা ইসলাম জুমার বয়ান আত্মহত্যা মহাপাপ এবং জঘন্যতম কবীরা গুনাহ
রহমত ডেস্ক 04 February, 2022 07:03 PM
ঢাকার মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেন, রজব ও পরবর্তী শাবান মাস হলো ইবাদতের বসন্তকাল পবিত্র রমজানের প্রাক প্রস্তুতির মাস। শারীরিক, মানসিক এবং নেক আমল ও পাপ বর্জনের মাধ্যমে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। রজব মাস শুরু হলেই নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোয়া খুব বেশি করে পড়তেন "আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শাবান ওয়া বাল্লিগনা রমাজান। অর্থাৎ হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দেন। (মিশকাত, হাদীস নং-১৩৬৯)। আজ (৪ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার ঢাকার মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জুমার খুতবা পূর্ব বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।
খতীব বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আত্মহত্যার প্রবনতা মহামারির রূপ ধারণ করেছে। আত্মহত্যা মহাপাপ এবং জঘন্যতম কবীরা গুনাহ। যারা ডিপ্রেশন, জেদ, নিঃসঙ্গতা ঘুচাতে কিংবা পার্থিব জীবনের দুঃখ দুর্দশা ও ব্যর্থতার গ্লানি থেকে বাঁচতে আত্মহননের মতো ভয়াবহ পথে পা বাড়ায়। তারা যদি বুঝতো এর ভয়াবহ শাস্তির কথা তাহলে কোনভাবেই এই পথে পা দিতো না। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে আত্মহত্যাকারীর পরকালীন কঠোর আজাবের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘তোমরা নিজেদের হত্যা করো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু। আর যে ব্যক্তি জুলুমের বশবর্তী ও সীমালঙ্ঘন করে আত্মহত্যা করবে তাকে খুব শিগগিরই অগ্নিতে দগ্ধ করবো। এটা আল্লাহর পক্ষে অতি সহজ।’ (সূরা: নিসা, আয়াত: ২৯-৩০)। আত্মহত্যার অপরাধে জান্নাত হারাম হওয়ার পাশাপাশি হাদীসেও কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ রয়েছে।
তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, 'কোন ব্যক্তি যে জিনিস দ্বারা আত্মহত্যা করে, কেয়ামতের দিন তাকে সে জিনিস দ্বারাই শাস্তি দেয়া হবে। যে ব্যক্তি ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে, সে দোজখে অনুরূপভাবে নিজ হাতে ফাঁসির শাস্তি ভোগ করতে থাকবে। আর যে বর্শা ইত্যাদির আঘাত দ্বারা আত্মহত্যা করে, সে দোজখেও সেভাবে নিজেকে শাস্তি দেবে।’ ( সুনান নাসাঈ)। অন্য আরেকটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সা. আত্মহত্যাকারীর প্রতি প্রচন্ড রাগান্বিত হয়ে তার জানাযার নামাজ পর্যন্ত পড়েননি। সুতরাং আত্মহত্যা প্রতিরোধে ধর্মীয় অনুশাসন মানার বিকল্প নেই। এ মহাপাপ থেকে বাঁচতে জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর উপর ভরসা, সুন্নাহ মোতাবেক আমল এবং সবরের আমল করতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তৌফিক দান করেন, আমীন।