রহমত ডেস্ক 04 February, 2022 07:26 PM
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২২’ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রযুক্তির নতুন ধারার সাথে তাল মিলিয়ে সরকার গ্রন্থাগারের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করছে। আগামীকাল (৫ ফেব্রুয়ারি) ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি জ্ঞানমনস্ক, সুন্দর ও আলোকিত সমাজ গঠনে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অপরিসীম। মানব-সভ্যতার সূচনা ও বিকাশ এবং ধারাবাহিকতার অমূল্য তথ্যাবলি পুস্তক গ্রন্থিত থাকে। গ্রন্থাগার সেই সংখ্যাতীত পুস্তকের বিপুল সমাহারকে ধারণ করে। মানবের উপলব্ধিগত জীবনবোধ সম্পর্কিত জিজ্ঞাসা ও উত্তরপ্রাপ্তির সবকিছু স্পষ্ট হয়ে উঠে গ্রন্থপাঠের মধ্য দিয়ে। বই পড়ার এই অবারিত সুযোগ করে দেয় গ্রন্থাগার। গণগ্রন্থাগারে জনসাধারণের অবাধ প্রবেশাধিকার শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির বহুমুখী বিকাশের ফলে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতির অতি ব্যবহার মানুষের মননশীলতা এবং সৃজনশীলতাকে ব্যাহত করে তাকে যান্ত্রিকতার মাঝে আবদ্ধ করে রাখছে। তথ্যপ্রযুক্তির চলমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে গ্রন্থাগারের প্রচলিত ধারণারও পরিবর্তন হয়েছে। গ্রন্থাগার এখন পায়ে-চলা পথ পেরিয়ে প্রযুক্তির মহাসড়কে পদার্পণ করেছে। গ্রন্থাগারগুলোকে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ঘরে বসেই অনলাইনে তথ্য আহরণের সুযোগ সৃষ্টি করছে। এ সকল উদ্যোগ তরুণ প্রজন্মকে যান্ত্রিকতার রুদ্ধতা হতে মুক্ত করে গ্রন্থাগারমুখী হতে উৎসাহিত করবে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের জন্য প্রয়োজন একটি সুশিক্ষিত ও আধুনিক চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ জ্ঞানভিত্তিক জাতি। গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর দেশের লাইব্রেরিসমূহে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের কর্নার স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় এক হাজার সরকারি ও বেসরকারি গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার স্থাপন করছে, যা মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মকে শিশু-কিশোরদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন।