মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন ট্রাকচাপায় রাবি ছাত্রের মৃত্যু : ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি
রহমত ডেস্ক 02 February, 2022 11:09 AM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ট্রাকচাপায় মাহবুব হাবিব নামের এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। এর জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এরইমধ্যে আন্দোলনের জেরে প্রক্টোরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি ছাত্রের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একইসঙ্গে ওই পরিবারের একজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার দাবি করেছেন তারা।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেন মাহমুদ সাকি।
সাত দফাগুলো হলো-
১. এটাকে কোনোভাভেই আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু বলছি না, এই হত্যাকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে;
২. ভিক্টিমের পরিবারকে সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; সেই সাথে আহত দুজনের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করতে হবে; তা ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।
৩. অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়কে এই হত্যাকাণ্ডের মামলার বাদী হতে হবে।
৪.হিমেল হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি ক্যাম্পাসের প্রতিনিয়ত চলমান নিরাপত্তাহীনতা, অনিয়ম, দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলা, ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার চূড়ান্ত বহিপ্রকাশ।
৫. চলমান এই নিরাপত্তাহীনতা ও ব্যর্থতার দায় নিয়ে ‘অযোগ্য’ প্রক্টরকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
৬. ভিক্টিমের পরিবারের কোনো এক সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. তিন গেইটে তিনটি ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।
এসময় আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্যারিস রোডের উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে হবিবুর রহমান হলের সামনের রাস্তায় ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজে নিয়োজিত ট্রাকের চাপায় প্রাণ হারান গ্রাফিক্স ডিজাইনের ছাত্র হিমেল। মোটরসাইকেলে ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে থাকা রিমেল নামের আরেক শিক্ষার্থী দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন।
হিমেলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই হল থেকে বেরিয়ে আসে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সামনে থাকা ৫টি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। মুহূর্তেই পুরো ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ শিকার্থীদের একটি অংশ ক্যাম্পাসের কয়েকটি স্থানে ভবন ও যানবাহনে ভাঙচুরও চালায়।