রহমত ডেস্ক 31 January, 2022 08:04 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা হচ্ছে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড এবং তার পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ইনডেমনেটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তরিত করে হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধ করা। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের উষালগ্নে মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে যারা পাকিস্তানিদের সহায়তা করে যুদ্ধাপরাধ করেছিলো সেটিও ছিলো মানবাধিকারের বিরুদ্ধে অপরাধ। মানবাধিকার রক্ষা, অন্যায়ের প্রতিকার ও ন্যায়প্রতিষ্ঠা করতে হলে অন্যায়ের প্রতিকার করতে হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ন্যায় ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এই অন্যায়গুলোর বিচারের ব্যবস্থা নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, ২১ আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে।
আজ (৩১ জানুয়ারি) সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের ২২তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের সভাপতি ড. ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই যুদ্ধারপরাধীদের বিচার করা তো দূরের কথা বরং জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে সামাজিকভাবে পুণর্বাসিত করেছিলো। যারা দেশটাই চায়নি, লাল সূর্য খচিত সবুজ পতাকাই যারা চায়নি, এই পতাকার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পতাকার পক্ষে যারা লড়াই করেছে, তাদের গাড়িতে এই পতাকাটি লাগিয়ে দেয়া হয়েছিলো। এগুলো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ছিলো এবং মানবাধিকারের চরম লংঘন ছিলো। একইসাথে জিয়াউর রহমান ক্ষমতাকে নিষ্কন্টক করার জন্য হাজার হাজার সেনাসদস্যকে বিনাবিচারে হত্যা করেছিলো। আর খালেদা জিয়ার আমলে প্রকাশ্যে দিবালোকে রাজধানীর কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিলো এবং বেগম আইভি রহমানসহ ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছিলো। এগুলো হচ্ছে দেশে বড় বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।