| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক ফের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা সৌদি ও থাইল্যান্ডের


ফের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা সৌদি ও থাইল্যান্ডের


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     26 January, 2022     07:04 PM    


দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় পর ফের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব ও থাইল্যান্ড। দীর্ঘ বিরোধের পর অবশেষে মঙ্গলবার থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা’র রিয়াদ সফরে দুই দেশের মধ্যে ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা’র এই ঘোষণা আসে।  ১৯৮৯ সালে এক থাই নাগরিক কর্তৃক সৌদি রাজপরিবারের বিপুল পরিমাণ গহনা চুরির ঘটনায় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল। এর আগে, রবিবার সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চান-ওচা মঙ্গলবার সৌদি আরবে দুই দিনের সফর শুরু করবেন। এই সফরের প্রথম দিনেই ফের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা আসে।

আজ (২৬ জানুয়ারি) বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এমবিএস নামে পরিচিত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সফররত থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা-র বৈঠক শেষে দুই দেশের এক যৌথ বিবৃতিতে ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা’র বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বলা হয়, পারস্পরিক আস্থা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। তার ফল হিসেবেই আজকের এই ঘোষণা। দুই দেশ অদূর ভবিষ্যতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে। সৌদি এয়ারলাইন্স ঘোষণা করেছে, আগামী মে মাসে থাইল্যান্ডে পুনরায় তাদের ফ্লাইট চালু হবে। সৌদি আরব হোটেল, স্বাস্থ্যসেবা এবং নির্মাণ প্রকল্পসহ বিভিন্ন খাতে ৮০ লাখ দক্ষ কর্মী চাইছে। এই চাহিদা পূরণে সহায়তার জন্য পর্যাপ্ত মানবসম্পদ থাইল্যান্ডের রয়েছে।

১৯৮৯ সালের ওই ঘটনায় সস্ত্রীক তিন মাসের ছুটিতে গিয়েছিলেন তৎকালীন সৌদি যুবরাজ ফয়সাল। এই সুযোগে তাদের বিশাল রত্নভাণ্ডার নিয়ে পালিয়ে যায় প্রাসাদের বিশ্বস্ত কর্মচারী থাই নাগরিক ক্রিয়াংক্রাই তেচামং। এসব অলংকারের দাম ছিল প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার। ইতিহাসে এ ঘটনা ‘ব্লু ডায়মন্ড অ্যাফেয়ার’ নামে পরিচিতি পায়। ওই ঘটনার এক বছরের মাথায় থাইল্যান্ডে তিন সৌদি কূটনীতিক একই রাতে পৃথকভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এর এক মাসের মাথায় দেশটিতে আরও এক সৌদি ব্যবসায়ী ‌‘নিখোঁজ’ হন। এসব ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটলে থাইল্যান্ডের অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিলিয়ন ডলারের পর্যটন রাজস্ব হারায় দেশটি। সৌদি আরবে চাকরি হারায় কয়েক হাজার থাই অভিবাসী শ্রমিক। একপর্যায়ে রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে আগ্রহী হয়ে উঠে থাই কর্তৃপক্ষ।