রহমত ডেস্ক 25 January, 2022 08:14 PM
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কারণে দেশে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় ৮৫ ভাগই নন ভ্যাক্সিনেটেড। এ পর্যন্ত দেশের ১৪ কোটির মত মানুষকে ভ্যাক্সিন দেয়া সম্ভব হয়েছে। তবে, আমাদের টার্গেট পপুলেশনের আরো ৩ কোটি মানুষকে এখনো ভ্যাক্সিন দেয়া সম্ভব হয়নি, যাদের অধিকাংশই পরিবহন খাতের, শিল্প কারখানায় কর্মরত সদস্য বা বিভিন্ন দোকান-পাটে কর্মরত কর্মী বাহিনীর সদস্য।
আজ (২৫ জানুয়ারি) মঙ্গলবার বিকালে অনলাইন জুম প্লাটফর্মে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত ‘ওমিক্রন মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক জরুরি মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় দেশের বিভিন্ন প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান,পরিচালক ও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দ্রুতই আমাদের এই ৩ কোটি নন- ভ্যাক্সিনেটেড মানুষকে ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এটি সময় মতো করা গেলে ওমিক্রনের কারনে দেশে ক্ষতির পরিমান অনেকটাই কমে যাবে। তিনি বলেন,দেশে এখন ওমিক্রন খুব দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সে অনুযায়ী মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না। দেশে সংক্রমণের হার মাত্র ১ ভাগ থেকে বেড়ে ৩২ ভাগ হয়েছে। মৃত্যুহার মাত্র ১ ভাগ থেকে ১৭ ভাগ হয়ে গেছে। অথচ বানিজ্য মেলায় দেখা যাচ্ছে, মানুষ গাদাগাদি করে চলাফেরা করছে। সেখানে অনেকেই মাস্ক পরিধান করছে না। দেশের অন্যান্য জনবহুল স্থানেও একই অবস্থা রয়েছে। তিনি বলেন, সরকার কোভিডের প্রথম দুটি ঢেউ দেশের মানুষের সহায়তায় সফল হয়েছে। এবারও দেশের মানুষের সহায়তা ছাড়া সফল হওয়া সম্ভব হবে না। আর এ যাত্রায় সফল হতে সবাইকে মাস্ক পড়তে হবে,স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব আনোয়ার হোসেন খান এমপি, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হাসান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ এভারকেয়ার হাসপাতালের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ডা. আরিফ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. আহমেদুল কবীর প্রমুখ।