রহমত ডেস্ক 24 January, 2022 07:41 PM
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ-আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, পুলিশকে ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের উপযোগী পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ দেশের মানুষকে সেবা দিতে বদ্ধপরিকর। প্রতিনিয়ত এ সংগঠনের মানোন্নয়নের জন্য কাজ করা হচ্ছে। পুলিশ সদস্যদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার মাধ্যমে সবচেয়ে মেধাবীদের নির্বাচন করা হচ্ছে। দীর্ঘ ৪০ বছর পর কনস্টেবল, সাব ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পদের নিয়োগ বিধি সংশোধন করে ইতোমধ্যে কনস্টেবল পদে 'বেস্ট অব দি বেস্ট' প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। পুলিশের চাকরি শুধু চাকরি নয়, সেবা। পুলিশ বৈষম্যহীনভাবে দেশের মানুষকে সেবা দিবে। কোন পুলিশ সদস্য কোন ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িত হলে তা বরদাশত করা হবে না। আমরা পুলিশের প্রতিটি সদস্যের জন্য সামর্থ্য অনুযায়ি ন্যায় সঙ্গত ও ন্যয্য কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজ (২৪ জানুয়ারি) সোমবার দুপুরে পুলিশ সপ্তাহ-২০২২ এর দ্বিতীয় দিনে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে শিল্ড প্যারেড, ২০২০ ও ২০২১ সালের মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও চোরাচালান দ্রব্য উদ্ধারে সাফল্য অর্জনকারী বিভিন্ন ইউনিটের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ২০২০ ও ২০২১ সালে বিভিন্ন অভিযানে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও চোরাচালানের মালামাল উদ্ধারে কৃতিত্ব অর্জনকারী বিভিন্ন ইউনিটের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন আইজিপি।
পুলিশ সপ্তাহ ২০২২ উদ্বোধন করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আইজিপি বলেন, এবারের পুলিশ সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, ‘দক্ষ পুলিশ সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ'। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি বাস্তবায়ন করছে পুলিশ। দেশে যখনই সন্ত্রাসবাদ হানা দিয়েছে তখনই জনগণকে সাথে নিয়ে তা দমন করা হয়েছে। মাদক নির্মূলে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।
যুব সমাজের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এদেশে মাদক উৎপাদন হয় না। কিন্তু আমরা কেন মাদকের শিকার হবো। যুব সমাজকে তা উপলব্ধি করতে হবে’। ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ যুব সমাজকে হাতছানি দিচ্ছে। আমাদেরকে অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। দেশ থেকে অবৈধ অস্ত্র সম্পূর্ণ নির্মূল করতে হবে।
আইজিপি বলেন, করোনা অতিমারিতে পুলিশ এক মহাকাব্যিক ভূমিকা পালন করেছে। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে পুলিশ সদস্যরা জনগণের বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দেয়া, খাবার পৌঁছে দেয়া, কৃষকের ধান কাটার ব্যবস্থা করা, এমনকি করোনায় কেউ মারা গেলে যখন আত্মীয়-স্বজনরা লাশ ফেলে চলে গেছে তখন পুলিশ লাশ দাফন বা সৎকার করেছে। করোনাকালে ১০৬ জন পুলিশ সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। সাতাশ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য আসুস্থ্য হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই আবার সুস্থ্য হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেছেন।