| |
               

মূল পাতা সারাদেশ মাওলানা জাফরুল্লাহ খানের ইন্তেকালে আনাস মাদানীর শোক


মাওলানা জাফরুল্লাহ খানের ইন্তেকালে আনাস মাদানীর শোক


রহমত ডেস্ক     21 January, 2022     07:39 PM    


বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সাবেক মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খানের ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে আঞ্জুমানে দাওয়াতে ইসলাহ বাংলাদেশের আমীর মাওলানা আনাস মাদানী বলেছেন, আমার ব্যক্তিগত জীবনে মাওলানা জাফরুল্লাহ খান রাহমাতুল্লাহি আলাইহির সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। দেশে ইসলামি শিক্ষা বিস্তার এবং দ্বীনি আন্দোলনে প্রায় সময় হযরত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। আমার বাবার ইন্তেকালের পর প্রায় সময় যোগাযোগ করে খোঁজ-খবর নিতেন। আজ (২১ জানুয়ারী ) জুমাবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা আনাস মাদানী বলেন, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান দেশের ইসলামী রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন, কোরআন-সুন্নাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মুকাবেলায় তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয় ছিল। বিশেষ করে তিনি সকল কাজে দারুল উলুম দেওবন্দের উসুলকে প্রধান্য দিতেন। আমার বাবা শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির আস্থাবান ব্যক্তি ছিলেন, শাইখুল ইসলামকে খুব শ্রদ্ধা ও ভক্তি করতেন। প্রায় সময় তিনি বিভিন্ন পরামর্শের জন্য শাইখুল ইসলারমর কাছে আসতেন। আল্লামা শাহ আহমদ শফী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির নেতৃত্বে দেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর থাকায় যেকোনো ঈমানী আন্দোলনে প্রথম সারিতে ছিলেন।

তিনি বলেন, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান হযরত হাফেজ্জী হুজুর রাহমাতুল্লাহি আলাইহির জীবদ্দশায় খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিবের দায়িত্ব অত্যন্ত যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে পালন করেছেন। তিনি সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন গড়ে তুলতেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি দরস ও তাদরীসের সাথেও জড়িত ছিলেন। তিনি বহু মসজিদ, মাদরাসা প্রতিষ্ঠাসহ দীনের বহুমুখি খেদমত আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। ইলমে দ্বীনের প্রচার-প্রসারে হযরতের ভূমিকা কওমি অঙ্গনে স্বরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের প্রতিটি ধাপ আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তার লেখা প্রায় ৪০ টির বেশী বই বাজারজাত হয়েছে। এদেশের ইসলাম ও মানুষের জন্য তার কুরবানী ভবিষ্যতে স্বর্নাক্ষরে লেখে রাখা হবে। দেশের এই অন্যতম শীর্ষ আলেমেদ্বীনের ইন্তেকালে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। সাথে সাথে হযরতের মাগফিরাত কামনা করছি।দেশজুড়ে মাওলানা জাফরুল্লাহ খানের রুহানি সন্তান, শোকসন্তপ্ত পরিবার,সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জ্ঞাপন করছি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সাবেক মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান (৭১) ইন্তেকাল করেছেন।  ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। আজ (২১ জানুয়ারি) শুক্রবার জুমার পূর্বে চট্টগ্রাম নগরীর আল জামিয়া ইসলামিয়া দামপাড়ায় সূরা কাহাফ তিলাওয়াতকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসাপাতাল নেওয়ার পথে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও চার মেয়ে রেখে গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি কিডনির রোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মাওলানা জাফরুল্লাহ খান  ঢাকার কেরানীগঞ্জের দিয়ানগরের মাশরাবুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ছিলেন। জানাজার নামাজ আগামীকাল (২২ জানুয়ারি) শনিবার সকাল ১০টায় নেত্রকোনা পৌরসভার মালনিতে অনুষ্ঠিত হবে।  জানাজার নামাজে ইমামতি করবেন তার ছেলে হাফেজ মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ। পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

আরো পড়ুন : মাওলানা জাফরুল্লাহ খানের কর্মময় জীবনী


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া