রহমত ডেস্ক 20 January, 2022 08:23 PM
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব ভালো কাজ করলেও সেটা সামনে আসছে না। র্যাবের প্রতি অবিচার হচ্ছে। সবকিছুই যদি এলিট ফোর্স র্যাবের ঘাড়ে দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমি মনে করি এটা তাদের প্রতি অবিচার হচ্ছে। এমন কোনো দেশ নেই যেখানে এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে না। পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ যদি অস্ত্র তুলে কথা বলে, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তখন নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকে না। তখনই এ সমস্ত ফায়ারিংয়ের ঘটনা ঘটে। আজ (২০ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্য অধিবেশনে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি পেছনের দিকে তাকান- র্যাব কখন তৈরি হয়েছিল। যারা র্যাব তৈরি করেছিল, এখন তারাই আবার র্যাবকে অপছন্দ করছে, নানা ধরনের অপপ্রচার করছে। র্যাব যে ভালো কাজ করছে সেগুলো তারা তুলে ধরছেন না। র্যাব যে মাদকের বিরুদ্ধে, ভেজালদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে, দস্যুমুক্ত করলো, চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাচ্ছে, তারা সবসময় জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনের জন্য কাজ করছে- সেই কথাগুলো তারা কখনও তুলে ধরেন না। অথচ তারা মানবাধিকারের কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, র্যাব যে ভালো কাজ করছে সেগুলো তারা তুলে ধরছেন না। র্যাব যে মাদকের বিরুদ্ধে, ভেজালদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে, দস্যু মুক্ত করলো, চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাচ্ছে, তারা সবসময় জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনের জন্য কাজ করছে- সেই কথাগুলো তারা কখনও তুলে ধরেন না। তারা নানা ধরনের মানবাধিকারের কথা বলেন। আমরা তো চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, এমন কোনো দেশ নেই যেখানে এনকাউন্টার বা এই ধরনের ঘটনা না ঘটে। পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যদি কেউ অস্ত্র তুলে কথা বলে; পুলিশ বাহিনী তো তখন নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকে না। তখনই এ সমস্ত ফায়ারিংয়ের ঘটনা ঘটে। এগুলো সবই যদি এই এলিট ফোর্স র্যাবের ঘাড়ে দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমি মনে করি, এটা তাদের প্রতি অবিচার হচ্ছে।
এদিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাবকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ পিয়েরে ল্যাকরোইক্সকে চিঠি দিয়েছে ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এইচআরডব্লিউ’র ওয়েবসাইটে এই চিঠির বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। চিঠিতে স্বাক্ষর করা ১২টি সংস্থা হলো- অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইন্স ইন-ভলান্টারি ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স-এএফএডি, এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বা ফোরাম এশিয়া, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন, এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস-এএনএফআরইএল, ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস, দ্য অ্যাডভোকেটস ফর হিউম্যান রাইটস, ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অ্যাগেইনস্ট টর্চার-ওএমসিটি।