রহমত ডেস্ক 20 January, 2022 10:56 PM
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর সাংবিধানিক অতি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এমন একটি আইন যেনতেনভাবে পাসের একটি প্রক্রিয়া চলছে, যেখানে বিভিন্ন সময় নাগরিক সমাজ এবং অংশীজনদের পক্ষ থেকে দেওয়া সুপারিশমালার অধিকাংশই আমলে নেওয়া হয়নি। আজ (২০ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি এমন দাবি করেছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্ভরযোগ্য অনানুষ্ঠানিক সূত্রে প্রাপ্ত খসড়াটিতে বিশেষ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতা নির্ধারণে যে তিনটি ধারা প্রস্তাব করা হয়েছে সেখানে তাদের সততা, ন্যায়পরায়ণতা, নিরপেক্ষতা, বস্তুনিষ্ঠতা, সৎসাহস ও গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে কোনো ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। নারী সদস্য অন্তর্ভুক্তির কোনো বিধানও রাখা হয়নি। এমনকি অযোগ্যতা নির্ধারণে যে প্রস্তাব করা হয়েছে, সেখানে দুই বছরের কম যেকোনো মেয়াদে ফৌজদারি অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত হলেও কমিশনার হওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। এছাড়া সুনির্দিষ্টভাবে তাদের দল-নিরপেক্ষতা তথা রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা কিংবা ঋণখেলাপ ও দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্টতা ইত্যাদি নিরূপণ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। এমনকি গুরুতর অসঙ্গতির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের অপসারণেও সুনির্দিষ্ট কোনো বিধান নেই, যা হতাশাজনক।
নির্বাহী পরিচালক বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী অনুসন্ধান কমিটি প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে দুজন ব্যক্তির নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করার কথা বলা হলেও, সেই নামসমূহ নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বেই প্রকাশ করার কোনো বিধান রাখা হয়নি। অন্যদিকে অনুসন্ধান কমিটিতে প্রস্তাবিত দুজন নাগরিক প্রতিনিধির যোগ্যতার বিবরণ যেমন নেই, তেমনি কোনো নারী সদস্য রাখার বিধানও অন্তর্ভুক্ত নয়। এসব সমাধান না করেই খসড়া চূড়ান্ত হলে এ আইনের পেছনে যে সাংবিধানিক চেতনা অন্তর্নিহিত এবং একে নিয়ে জনগণের যে প্রত্যাশা, তার বাস্তবায়ন অসম্ভব হবে। পূর্ণাঙ্গ যাচাই-বাছাইসহ নাগরিক সমাজ তথা সকল অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করে খসড়া আইনটি চূড়ান্ত করার দাবি জানান ইফতেখারুজ্জামান।