রহমত ডেস্ক 19 January, 2022 08:45 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকার খসড়া আইন করছে। এতে অন্যতম শর্ত হচ্ছে- গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি বা বিচার বিভাগীয় পদে ওইসব ব্যক্তির কমপক্ষে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অর্থাৎ সরকারি কর্মচারী ছাড়া আর কেউ কমিশনে নিয়োগ পাবেন না। আর সরকারি কর্মচারী মানেই হচ্ছে শেখ হাসিনার কর্মচারী। আরো দেখা যাচ্ছে- সিভিল সোসাইটির কেউ অথবা কোনো শিক্ষাবিদ, কোনো আইনজ্ঞ তারা কেউ সদস্য হতে পারবেন না। সার্চ কমিটি আইনসিদ্ধ ছিল না, এখন আইন সিদ্ধ করছে। আগে কাবিন ছাড়া সংসার করেছে, এখন কাবিন করে সংসার করছে। অর্থাৎ আইন করে অবৈধকে বৈধ করছে সরকার।
আজ (১৯ জানুয়ারি) বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা. আব্দুস সালামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এতে বিনামূল্যে ১৮০ জন দুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করেন।
গয়েশ্বর আরো বলেন, আমাদের দাবি নির্বাচন কমিশন নয়, আমাদের দাবি হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের গঠন করা নির্বাচন কমিশন দিয়ে ২০০১ সালে ভোট হয়েছিল। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে বিএনপি ১৯৩টি আসন পেয়েছিল। অতএব নির্বাচন কমিশন বা এই আইন নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। শেখ হাসিনাকে বলবো, আপনি কবে যাবেন, সেই প্রস্তুতি নিন। এছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। আপনার যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিদেশেও পালাতে পারবেন কিনা জানি না। কারণ, একের পর এক চালান ফেরত আসছে। যদি বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা না হতো, যদি গণতন্ত্র থাকত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটত না।