রহমত ডেস্ক 16 January, 2022 11:02 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আল্লাহর রহমত আছে বলেই খালেদা জিয়া বেঁচে আছেন। এই সরকার যাবে। সরকার এখন কোমায়। সরকার যাবে বলেই এই ধরনের বিধিনিষেধ দিয়েছে। এই পুলিশ কেউ থাকবে না। অতীতে সরকার রক্ষার জন্য পুলিশ জীবন দেয়নি। বরং জনগণকে রক্ষায় পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। যদি কোনো বিচারপতি অন্যায় করে তাদেরও বিচার করা যাবে, যেহেতু দেশে সংবিধান আছে। দেশে যদি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়, সকল অন্যায়কারীরই বিচার হবে। কেউ রেহাই পাবে না।
আজ (১৬ জানুয়ারি) রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় দলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও করোনা আক্রান্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সুস্থতা কামনা করে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। দোয়া মাহফিলে অংশ নেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সরফত আলী সপু, তাইফুল ইসলাম টিপু, হাবিবুর রশিদ হাবিব, নবীউল্লাহ নবী, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, গোলাম মাওলা শাহীন প্রমুখ।
গয়েশ্বর বলেন, নেতানেত্রীদের জন্য দোয়া করতে এখানে আমরা একত্রে হাত তুলতে এসেছি। এটা যদি বাধা না হয়; রাজপথে বাধা হবে কেন? জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার ও রবিবার উভয় দিনই বাধা ছিল। এটা একটা টেস্ট কেস, দেখি সরকার কোন পথে যায়। একটা সময় আসে‑যখন সকল কৌশলে সফল হওয়া যায় না। এখন সরকার যে কৌশলই করুক, তারা ব্যর্থ হবে; কারণ এখন সরকারের ব্যর্থ হওয়ার সময়। আর বিএনপি তার কৌশলে সফল হবে। কারণ, এখন বিএনপির সফল হওয়ার সময়। যেখানে জেলা সমাবেশ বন্ধ করা যায়নি, ১৪৪ ধারা দিয়েও জনগণকে রুখতে পারা যায়নি। সুতরাং এ ধরনের বিধিনিষেধ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যায় না।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা যে কর্মসূচি (জেলায় জেলায় সমাবেশ) দিয়েছিলাম, তা তো স্থগিত করা হয়নি; পুনঃনির্ধারণ করে আপনাদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। আপনারা প্রস্তুতি রাখবেন। যখন পুনঃনির্ধারণ করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে তখন আরও অধিক শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে। এখন আমরা অ্যাক্ট করব; সরকার রিয়্যাক্ট করবে। আমরা আক্রমণ করব, ওরা আত্মরক্ষা করবে। আপনারা প্রস্তুতি নেন। জনগণ সরকারের খেলাটা কিভাবে নেয়-তা দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। জনগণ সরকারের বিধিনিষেধকে খেলা বলছে। এখন তো আর ভয় নেই। জীবনভর কি সরকারের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি করতে হবে? যে কর্মসূচিতে অনুমতি নিতে হয় না; সেই কর্মসূচি করা হবে।