রহমত ডেস্ক 16 January, 2022 02:55 PM
মৃদু শৈত্যপ্রবাহের প্রবাহে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে টানা তিনদিন ধরে তাপমাত্রা কমা অব্যাহত রয়েছে। আজ (১৬ জানুয়ারি) রবিবার সকালে জেলার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ এর মধ্যের অবস্থাকে শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। রবিবার সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রবিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল। আকাশও মেঘলা ছিল। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বির্পস্ত হয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকার জনজীবন। তবে সকালে পর ঝলমলে রোদের কারণে শীতের তীব্রতা কমে যায়। দুইদিন পরে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও দুপুরের পর কমে যায় রোদের ঝলক। আবারও শুরু হয় হিমেল হাওয়া ও শীতের তীব্রতা। চলতি শীত মৌসুমে তৃতীয় দফায় টানা তিন দিনের শৈত্যপ্রবাহে জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ১০ টার পরও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। কনকনে শীতে কাহিল হয়ে পড়েছেন দুস্থ আর খেটে খাওয়া মানুষ। চলতি সপ্তাহে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যক্ষেণ কেন্দ্র।
এদিকে, ঠান্ডার কারণে জেলায় শীতজনিত নানা রোগ বালাই বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে বৃদ্ধি বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালের বহিঃবিভাগে প্রতিদিন অসংখ্য শীতজনিত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও শিশু রোগীদের জায়গা সংকুলান হচ্ছে না।