| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বিচারপতি টি এইচ খান আর নেই


বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বিচারপতি টি এইচ খান আর নেই


রহমত ডেস্ক     16 January, 2022     07:47 PM    


সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী ও বাংলোদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বিচারপতি তাফাজ্জল হোসেন খান আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ১০২ বছর। তিনি তিন ছেলে এক মেয়েসহ নাতি নাতনি ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গিয়েছেন। মরহুমের স্ত্রী ২০১১ সালে ইন্তেকাল করেছেন। তিনি টি এইচ খান নামে সুপরিচিত। আজ (১৬ জানুয়ারি) রবিবার সন্ধ্যা ৫টায় রাজধানীর কল্যাণপুরে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার ছেলে সিনিয়র সাংবাদিক ও সিনিয়র আইনজীবী আফজাল এইচ খান জানান, বেলা ৫টায় আব্বা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রবিবার ভোরে তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বার্ধক্যজনিত জটিলতাসহ নিউমনিয়ায় ভুগছিলেন। 

বিচারপতি টি এইচ খান নামে তিনি সমধিক পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম তাফাজ্জাল হোসেন খান। তিনি ১৯২০ সালের ২১ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলাধীন ঔটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি আইন পেশায় যোগ দেন। তিনি ১৯৬৮ সনে তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তিনি হাইকোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ১৯৭৩ সালের জুলাই মাস থেকে পুনরায় আইন ব্যবসায় ফিরে আসেন। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথম বারের মতো সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ ১, হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া, আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে তিনি আইন ও বিচার, তথ্য ও বেতার, শিক্ষা, ভূমি, প্রশাসন, ধর্ম, যুব ও ক্রীড়া এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর আইন, শিক্ষা, ধর্ম, ভূমি ও রাজস্ব এবং ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এরপর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদের নেতৃত্বে নতুন সামরিক আইন জারি করা হয়। তখন তিনি আইন পেশায় ফিরে যান। ১৯৮৬ সালে এরশাদের নির্বাচনে বিরোধিতা করার জন্য গ্রেফতার হন তিনি। বিচারপতি টি এইচ খান ১৯৯২ সালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।