| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ‘নবাব সলিমুল্লাহ উপমহাদেশে রাজনীতির অগ্রদূত ছিলেন’


‘নবাব সলিমুল্লাহ উপমহাদেশে রাজনীতির অগ্রদূত ছিলেন’


রহমত ডেস্ক     15 January, 2022     10:14 PM    


নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ভারত উপমহাদেশে মুসলমানদের শিক্ষা ব্যবস্থার ও রাজনীতির অগ্রদূত ছিলেন। ১৯০৮ সালে অমৃতসরে মুসলিম লীগ সভায় নবাব সলিমুল্লাহ বলেছিলেন, যখন আমি দেখলাম আমার জাতি তথা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতগণ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তখন সিদ্ধান্ত নিলাম প্রয়োজনে নিজে ধ্বংস হবো কিন্তু এ জাতিকে রক্ষা করবো ইনশাআল্লাহ।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বাদ যোহর পল্টনস্থ কার্যালয়ে উপমহাদেশে মুসলিম জাগরণের প্রাণপুরুষ অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আহছানউল্ল্যাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল (বর্তমান বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অসংখ্য এতিমখানা ও মাদরাসার প্রতিষ্ঠার মহানায়ক নবাব স্যার সলিমুল্লাহর ১০৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সভা শেষে নবাব সলিমুল্লাহ রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার কথা রাখার চেষ্টা করে গেছেন। রাজ্য শাসন, ক্ষমতা দখল তার রাজনীতির লক্ষ ছিল না বরং তিনি নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন বেনিয়া ইংরেজ আর ব্রাহ্মণ্যবাদীদের শাসন শোষণে রাজা থেকে ফকির বনে যাওয়া অশিক্ষিত মুসলমান জাতিকে ঐক্যবদ্ধ আর শিক্ষিত করার জন্য। মুসলমানদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এবং রাজনৈতিক ভাবে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে নবাব সলিমুল্লাহর উদ্যোগে ও প্রস্তাবে ১৯০৬ সনের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার শাহবাগে প্রতিষ্ঠিত হয় অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ১৯০১ সালে নবাব হওয়ার পরপরই ঢাকার প্রতিটি এলাকায় নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনের নির্দেশ ছিল তার শিক্ষানুরাগী হিসাবে আত্মপ্রকাশের প্রথম ধাপ। নিরন্তরভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রাজনীতি ও সামাজিক প্রতিযোগিতার উপযোগী করে গড়ে তোলার মানসে ১৯১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী তোলেন ব্রিটিশ শাসকদের নিকট। সায়মন কমিশন এর দেয়া রিপোর্টে বিশ্ববিদ্যালয় করার মত পর্যাপ্ত জায়গা নেই এ রকম খোঁড়া যুক্তির জবাবে তিনি শাহবাগের গোটা বাগানবাড়ীসহ আনুমানিক ৬০০ একর জায়গা দান করার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে সুগম করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পথ। কিন্তু পরিতাপের বিষয় সেই বিশ্ববিদ্যালয় আজ নবাবকে এমনকি জন্মবার্ষিকী মৃত্যুবার্ষিকীতেও স্মরণ করে না। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধীতাকারীদের পালের গোদাকে জাঁকজমকের সাথে স্মরণ করা হয়। নতুন প্রজন্মকে নবাব সলিমুল্লাহ সম্পর্কে পরিপূর্ণ ভাবে জানানোর লক্ষ্যে পাঠ্যসূচীতে নবাব সলিমুল্লাহর জীবনী অন্তর্ভুক্তি অত্যাবশ্যক।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগের স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, দলে মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনে আহ্বায়ক কে,এম রকিবুল ইসলাম রিপন, দলীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহসভাপতি নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জসীমউদ্দিন, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান ও কাজী এ.এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর, অ্যাডভোকেট আফতাব হোসেন মোল্লা, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, আব্দুল খালেক, নূর আলম। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কবি মুহাম্মদ ওবায়েদউল্ল্যাহ।