মাওলানা রাদ তানবীর 11 January, 2022 06:50 PM
মুসলিমদের উপর শরীয়ত কর্তৃক যে সমস্ত ফরজ বিধান রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো নামাজ। বালেগ হওয়ার সময় থেকে প্রতিটি মুসলমানের উপর নামাজ ফরজ হয়। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের এই দীর্ঘ জীবনে অনেক ওয়াক্তের নামাজ ছেড়ে দিয়েছি আমরা। কেউ ছেড়েছি ইচ্ছায় ও অলসতায় আর কেউ ছেড়েছি অনিচ্ছায় বা ভুলে গিয়ে। তা যাই হোক, সেই নামাজগুলো অবশ্যই কাযা করা জরুরি। কিন্তু জীবনের এত এত ছুটে যাওয়া নামাজ কীভাবে কাযা করবো তা নিয়ে আমরা অনেকেই টেনশন করি। অনেকে সেগুলো কাযা করার পদ্ধতি জানা না থাকার কারণে কাযা করছি না। অনেকে পদ্ধতি জেনেও কাযা করছি না। এটা একদমই ঠিক হচ্ছে না! আমরা বরং একটু চেষ্টা করলেই পারি পিছনের ছুটে যাওয়া নামাজগুলোকে কাযা করতে। এখন থেকে যদি একেক ওয়াক্তের নামাজ আদায় করে পিছনে ছুটে যাওয়া কিছু কিছু নামাজ নিয়মিত আদায় করি তাহলে একদিন না একদিন সবগুলো শেষ হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। বরং মনে করি, বেশি বেশি নফল নামাজ পড়ার চেয়ে পিছনের ছুটে যাওয়া নামাজগুলোকে কাযা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এবং এটাই করা আবশ্যক। কারণ নফল নামাজ না পড়লে গুনাহ নেই, পড়লে ছওয়াব আছে, কিন্তু ছুটে যাওয়া নামাজগুলো কাযা না করলে অবশ্যই গুনাহ হবে। সেগুলো কাযা করলে গুনাহমুক্তির পাশাপাশি ছওয়াবও অর্জিত হবে। তাই আমাদের উচিত পিছনের ছুটে যাওয়া নামাজগুলো কাযা করা। প্রতিদিন কিছু কিছু পড়ার অভ্যাস করলেই হয়ে যায়!
এমনিভাবে আমরা যারা নিয়মিত কুরআনুল কারীম পড়ি তারাও অনেকসময় সেজদার আয়াত পড়ে সাথেসাথে সেজদা দেই না। পরে দিব ভেবে রেখে দেই। পরে আর দেওয়া হয় না। অথচ সেই সেজদাগুলো দেওয়া ওয়াজিব। সেজদা না দিতে দিতে এভাবে জীবনে অনেক সেজদা জমা হয়ে গেছে। তাই এক্ষেত্রেও উচিত প্রতিদিন সুযোগে সুযোগে কিছু কিছু সেজদা আদায় করা। এভাবে একদিন সব সেজদা আদায় হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফীক দান করুন।
-
পিছনে ছুটে যাওয়া নামাজগুলোর সংখ্যা যদি অনেক হয় আর সেগুলোর সিরিয়াল যদি জানা না থাকে তাহলে আমরা এভাবে নিয়্যত করবো, আমি ক্বেবলামুখী হয়ে আমার জীবনে ছুটে যাওয়া প্রথম ফজরের ফরজ নামাজ কাযা করতেছি, আল্লাহু আকবার। এভাবে প্রত্যেকবার কাযা করার সময় প্রথম ফজরের ফজর নামাজ কাযা করতেছি বলবে। অন্য ওয়াক্তের নামাজের ক্ষেত্রেও একই কথা। এটাই সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি।