মুফতী শামসুদ্দোহা আশরাফী 10 January, 2022 08:42 PM
প্রচলিত গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার নির্বাচন পদ্ধতিকে (বিকল্প কোন শরয়ী পদ্ধতি না থাকায়) সর্বোচ্চ জায়েয বলা যায়। এরচেয়ে আগ বেড়ে এটাকে শরয়ী (পারিভাষিক) জিহাদ/জিহাদের সমকক্ষ/জিহাদের বিকল্প / জিহাদের স্থলাভিষিক্ত কোনটাই বলার সুযোগ নেই। বললে সেটা তাহরীফ হিসেবে বিবেচিত হবে।
জিহাদের শরয়ী ও লুগাবি (শাব্দিক) বাস্তবতা বুঝার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনিই আমাদের জন্য যথেষ্ট। এখানে দুটোর অস্তিত্বই একেবারে হাতে-কলমে পাওয়া যায়। বদর,উহুদ, খন্দক,হুনাইন ইত্যাদি হল জিহাদে শরয়ীর উতকৃষ্ট উদাহরণ।
দাওয়াত, তাজকিয়া,তালীম,হক কথা বলা,বাবা মায়ের খেদমত করা,লেখালেখি ও বলাবলির মাধ্যমে দ্বীনের কাজ করা ইত্যাদি হল জিহাদে লুগাবি তথা শাব্দিক জিহাদের উদাহরণ।
সুতরাং দ্বীন কায়েমের বিশুদ্ধ নিয়ত ও খুলুসিয়ত থাকলে এর প্রতিদান হিসেবে প্রচলিত ইসলামি রাজনীতির জাযা হিসেবে শাব্দিক জিহাদের প্রতিদান আল্লাহ তায়ালা চাইলে দিলেও দিতে পারেন। তবে এ প্রক্রিয়ায় দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টাকে সরাসরি শরয়ী জিহাদের পর্যায়ভুক্ত মনে করার সুযোগ নেই।
শরয়ী জিহাদের কোরআনি পরিভাষা হল কিতাল। এছাড়া কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত ফি সাবিলিল্লাহ''র মেসদাকে আওয়ালও কিতাল।
মিসদাকে সানি হিসেবে দ্বীনের অন্যান্য কাজকেও বিশুদ্ধ নিয়ত ও পরিশুদ্ধ পদ্ধতিতে হওয়ার শর্তে শাব্দিকভাবে জিহাদ ও ফি সাবিলিল্লাহ বলা হয়েছে এবং এতেও জিহাদের সওয়াবের কথা বলা হয়েছে।
সরাসরি জিহাদে অংশগ্রহণের সওয়াব আর দ্বীনের কোন কাজ করে জিহাদের সওয়াব পাওয়ার উদাহরণ হল একবার কষ্ট করে পুরো কোরআনুল কারীম পড়া আর ৩ বার সুরায়ে ইখলাস পড়ে এক খতম কোরআনুল কারীমের সওয়াব পাওয়ার মতো।