রহমত ডেস্ক 03 January, 2022 10:04 PM
বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপ প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। এর আগেও দুবার সংলাপ হয়েছে। এতে গঠিত রফিক ও হুদা কমিশন- বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ঘৃণিত কমিশন। কাজেই সরকার যা ইচ্ছে তাই করে। যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় তা অস্বচ্ছ। যদি নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার না হয়, প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে যাকে দিয়েই নির্বাচন কমিশন করা হোক না কেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সে কারণে এ সংলাপকে অপ্রয়োজনীয় ও প্রহসনের সংলাপ দাবি করে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা জানিয়ে দিয়েছি, এ সংলাপে যাবো না। দেশের অনেক রাজনৈতিক দল এ সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
আজ (৩ জানুয়ারি) সোমবার কক্সবাজারের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া চিকিৎসা করাতে বিদেশ যেতে চেয়েছিলেন। সেখানেও সরকারের বাধা। কোটি মানুষের মায়ের চিকিৎসা করাতে যাদের বাধা তাদের প্রতি আমাদের শুধুই ঘৃণা। তার চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশ করতে চাইলে তাতেও বাধা আসে। চিকিৎসার জন্য খালেদা ছাড়া সবাই বিদেশ যেতে পারে। অবিলম্বে তাকে দেশের বাইরে পাঠানোর সুযোগ করে দেওয়া হোক।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে শহরের শহীদ স্মরণি সড়কে সোমবার বিকেলে সমাবেশের ডাক দেয় কক্সবাজার জেলা বিএনপি। সে সমাবেশস্থল থেকে ১০০ গজ দূরে শহীদ মিনারে গণতন্ত্রের বিজয় উদযাপন কর্মসূচি দেয় যুবলীগ। একই জায়গায় দুই দল কর্মসূচি ডাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় সোমবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। ফলে পূর্বনির্ধারিত জায়গা পরিবর্তন করে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে বিএনপি। সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।
অন্যদিকে শহীদ মিনার সড়কে জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করায় শহীদ দৌলত ময়দানে নিজেদের পূর্ব ঘোষিত প্রোগ্রাম করেছে জেলা যুবলীগ। কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর বলেন, আমরা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে সম্মান দেখিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানস্থল পরিবর্তন করেছি। জেলার পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেন না ঘটে সেজন্য সকাল থেকে প্রশাসন মাঠে ছিল। সমাবেশেও ছিল পুলিশ। কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই দিনটি শেষ করা গেছে।