রহমত ডেস্ক 02 January, 2022 10:12 PM
বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, সাংবাদিক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে আছে পীর মশায়েখ ও আলেম ওলামাদের হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য। আলেম ওলামারা রাষ্ট্র পরিচালনায় কোন বাধা সৃষ্টি করছেনা। কিন্তু ইসলামী ইতিহাস ঐতিহ্য কুরআন হাদিস, মসজিদ মাদরাসা ও ইসলামী লেবাস পোষাকের ব্যাপার কোন ধরণের বাধা আসলে কোন আপোষ করা যাবে না। দেশের যে কোন বাহিনী, ব্যক্তি এ ব্যাপারে বাধা সৃষ্টি করে বাংলাদেশ থেকে ইসলাম মুছে দিতে পারবেন মনে করলে তারা তা ভুল করবেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তুরস্কে শত বছর নির্যাতন নিষ্পেষণেও সেখানকার মুসলমানদের ইসলামী কৃষ্টি সংস্কৃতি থেকে সরানো যায়নি। আপনারা দেশ পরিচালনা করেন এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তবে ইসলামি কৃষ্টি সংস্কৃতি ও মসজিদ মাদরাসা পর্দা হেজাব ও দাড়ি টুপি নিয়ে টানাটানি করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনবেন না।
শনিবার (২ জানুয়ারী) রাতে কক্সবাজার ইমাম মুসলিম ইসলামিক সেন্টারের মাহফিলে আলোচনাকালে একথা বলেন। চট্টগ্রাম দারুল মাআরিফ আল ইসলামিয়ার সহকারী পরিচালক মাওলানা ফুরকান উল্লাহ খলিলের সভাপতিত্বে মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস মুফতি আব্দুল হালিম বোখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকার উপ পরিচালক মাওলানা ড. মুশতাক আহমদ, ঢাকা রামপুরার মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা আব্দুল বাসেত খান সিরাজী, মাওলানা হাসান জামিল, তেজগাঁও জামেয়া রেলওয়ে ষ্টেশনের পরিচালক মাওলানা মুজিবুর রহমান ও আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামজা। এতে সকাল থেকে ছিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের তেলাওয়াত, হামদ- নায়াতসহ বিভিন্ন পরিবেশনা। যোহরের আগ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তারা আলোচনা পেশ করেন আমন্ত্রিত ওলামায়ে কেরাম।
উল্লেখ্য, পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরের লিক রোড এলাকায় এককালের বনজঙ্গল এলাকায় ইমাম মুসলিম ইসলামিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন বিশিষ্ট দায়ী হাফেজ মাওলানা ছালাহুল ইসলাম। এখানে হয়েছে দৃষ্টি নন্দন বিশাল মসজিদ, দুই হাজার শিক্ষার্থীদের মাদরাসা, হেফজখানা ও এতিম খানা। এলাকাটি এখন একটি আলোকিত এলাকা এবং অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।