রহমত ডেস্ক 31 December, 2021 06:34 PM
খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, দেশে মানুষের জান মাল ইজ্জতের গ্যারান্টি নেই। গুম, হত্যা, ধর্ষণ, পৈচাশিক নির্যাতন আইয়ামে জাহিলিয়াতকে হার মানিয়েছে। ঘর থেকে বের হলে আবার নিরাপদে ঘরে ফিরে আসার নিশ্চয়তা নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। চাল-ডাল, তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশের সাধারণ মানুষ দিশেহারা। সর্বত্র দুর্নীতিতে সয়লাব হয়ে আছে। এ অবস্থা উত্তরণে খেলাফত ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিকল্প নেই। আজ (৩১ ডিসেম্বর) শুক্রবার সকাল ৯টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে খেলাফত মজলিসের সাধারণ পরিষদের একাদশ অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দলের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে মূল বক্তা ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব কারানির্যাতিত জননেতা ড. আহমদ আবদুল কাদের। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধিবেশন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক সংগঠনের যুগ্মমহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ভাষা সৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান, সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী, নায়েবে আমীর হাফিজ মাওলানা মজদুদ্দিন আহমদ, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ, উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম, ড. আবদুল লতিফ মাসুম, নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল হালিম, হাফেজ মাওলানা নোমান মাযহারী, যুগ্মমহাসচিব- এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ মনির হোসাইন, শ্রমিক মজলিসের সভাপতি হাজী নূর হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ এ এ তাওসিফ, মাওলানা তোফাজ্জাল হোসাইন মিয়াজী, এডভোকেট মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা মাওলানা জিয়াউল হক শামীম, আবদুস সামাদ সরকার, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক- অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, আলহাজ¦ আবু সালেহীন, মুফতি শিহাবুদ্দিন, মাওলানা শামসুজ্জামান চেীধুরী, ডা: শরীফ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক, অধ্যাপক আবু সালমান, মুফতি ওযায়ের আমীন, মাষ্টার সাইফ উদ্দিন, মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম, মাস্টার আবদুল মজিদ, বুরহান উদ্দিন সিদ্দকিী, অধ্যাপক মাওলানা এএসএম খুরশীদ আলম, ডা. হাসানুজ্জামান হেলাল, মুফতি সাইয়্যেদুর রহমান, মুহাদ্দিস শেখ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, মাওলানা নুরুল আল মামুন, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সমাওলানা সৈয়দ মুশাহিদ আলী, অধ্যাপক বজলুর রহমান, প্রভাষক মোঃ আবদুল করিম, হাফেজ মাওলানা জিন্নত আলী, মাওলানা আহমদ বিলাল, অধ্যাপক মাওলানা খুরশীদ আলম, মাওলানা কাজী আসাদ উল্লাহ, মাওলানা আফতাব উদ্দিন, সাখাওয়াত হোসেন মোহন, মাওলানা আবদুল হাই, মাওলানা আবদুল হক আমিনী, ডাঃ রিফাত হোসেন মালিক, মাওলানা আজিজুল হক, ডাঃ আবাদুল্লাহ, খন্দকার সাহাবউদ্দিন আহমদ, মাওলানা মাহবুবুর রহমান হানিফ, তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার প্রমুখ। অধিবেশনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শাখার প্রতিনিধিগণ বক্তব্য প্রদান করেন।
মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের পথ কুসুমাস্তির্ণ নয়। এ পথ কন্টকাকীর্ণ। ত্যাগ-কুরবানীর মাধ্যমে দীনের কাজকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে আমাদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণের অধিকার আদায়ে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে ন্যায় ও ইসনাফভিত্তিক জনক্যাণমূলক জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার কায়েম করতে হবে।
অধিবেশনে একটি শোক প্রস্তাবসহ রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তরণ প্রসঙ্গ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্নীতি প্রসঙ্গ, হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন প্রসঙ্গ ও দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতন প্রসঙ্গে সর্বসম্মতিক্রমে ৫টি প্রস্তাব গ্রহীত হয়।