থার্টি-ফাস্ট নাইট উদযাপন ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম : মুফতী সুলতান মহিউদ্দিন

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রহমতিয়া জামে মসজিদের খতিব মুফতী সুলতান মহিউদ্দিন বলেছেন, থার্টি-ফাস্ট নাইট উদযাপন মুসলমানদের উৎসব নয়, এটা বিজাতীয় সংস্কৃতিক। অশ্লীলতার চাদরে ঢাকা ইংরেজি নববর্ষ থার্টি ফার্স্ট নাইট এর মত নোংরা সংস্কৃতি পালন করা ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। এই নোংরা দিবস উদযাপন করতে গিয়ে  প্রতি বছর চরিত্র বিসর্জন দিচ্ছে অসংখ্য তরুণ-তরুণী। থার্টি-ফাস্ট নাইট উদযাপনের নামে যে উম্মাদনা, আতশবাজি, বোমাবাজি,নাচ-গান, বেপর্দা-বেহায়াপনা, অশ্লীলতা, ব্যভিচার ও বিধর্মীদের অনুসরণ করা হয় এর প্রত্যেকটাই ইসলামী শরীয়ত বিরোধী ও ঘৃণিত কাজ।

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) কামরাঙ্গীরচর রহমতিয়া জামে মসজিদে জুমার বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতী সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, কতিপয় মুসলিম যুবক-যুবতীরা বিধর্মীদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে নিজেদের ঈমান -আমল ধ্বংস করছে। মুসলমানদের উচিত এই নোংরা দিবসকে ঘৃনার সাথে বর্জন করা। 

তিনি আরো বলেন,  আতশবাজি ও বোমা ফোটানোর ফলে যে ভয়ঙ্কর শব্দদূষণ হয়ে থাকে তাতে অসুস্থ, বৃদ্ধ, হার্টের রুগী ও শিশুরা সাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে  কষ্টের শিকার হয়। যার ভিতরে মানবতা আছে সে কখনো এ ধরনের অনর্থক অন্যায় কাজ করতে পারে না। থার্টি-ফাস্ট নাইট উদযাপনের নামে আতশবাজি, বোমা ফাটানোর বিরুদ্ধে আইন থাকলেও তা প্রয়োগ না থাকায় দেশের জনগণ হতাশ।

তিনি বলেন, ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আল্লাহর বিধান না মানার কারণে সারাবিশ্বে একের পর এক মহামারী আসছে। আল্লাহর গজব থেকে বাঁচতে  সব ধরনের পাপকার্য থেকে বিরত থেকে সকলে মিলে মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট খাটি তওবা করা খুবই প্রয়োজন। কোরআন সুন্নাহর আলোকে ব্যক্তিজীবন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালিত হলেই সব ধরনের বিপদ-আপদ ও মহামারী দূর হতে পারে।

মুফতী মহিউদ্দিন আরো বলেন, আমাদের জীবন থেকে একটি বছরের সমাপ্তি ঘটছে আর প্রবেশ করছি নতুন বছরে, যেখানে আমাদের করণীয় হলো মহান আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং নিজের ভুল-ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। নতুন বছর যেন সর্বদিক থেকে মঙ্গলময় হয় সেই দোয়া আল্লাহর কাছে করা।

তিনি থার্টি-ফাস্ট নাইটে কোটি কোটি টাকা অপচয় না করে শীতার্ত, অসহায় ও  দুস্থ মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে সকলের প্রতি আহবান জানান।