রহমত ডেস্ক 29 December, 2021 10:28 PM
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের চলমান সংলাপে অংশগ্রহণ করবে না বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। একইসঙ্গে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তৃতীয় বছরপূর্তি দিবসকে 'ভোটাধিকার হরণ দিবস' হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সারাদেশে মহানগর ও জেলা পর্যায়ের এবং ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ (২৯ ডিসেম্বর) বুধবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন। গত সোমবার অনুষ্ঠিত দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপে অংশ না নেওয়ার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপি বিশ্বাস করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ব্যতিরেকে সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কোনো নির্বাচন কমিশনই করতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি নিজেই বলেছেন, তার কোনো ক্ষমতা নেই পরিবর্তন করার। সেই কারণে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ কোনো ইতিবাচক ফলাফল আনতে পারবে না। তাই বিএনপি অর্থহীন কোনো সংলাপে অংশগ্রহণ করবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নিরপেক্ষ প্রশাসনের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা ব্যতীত নির্বাচন কমিশনের গঠন নিয়ে সংলাপ শুধু সময়ের অপচয়। বিগত দুইটি নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়ে তাদের মতামত দিয়েছিল। বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট প্রস্তাব লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করেছিল। কিন্তু সব উদ্যোগই ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচনকালীন আওয়ামী লীগের দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে।
বৈঠকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সাংবাদিক দ্য ফিন্যান্সিয়াল হেরাল্ড সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ও সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ আকরাম হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। এছাড়া ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৪৫ জনের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশের পাশাপাশি দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।