| |
               

মূল পাতা জাতীয় চাকরিতে নিয়োগের সময় ‘ডোপ টেস্ট’ বাধ্যতামূলক করা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


চাকরিতে নিয়োগের সময় ‘ডোপ টেস্ট’ বাধ্যতামূলক করা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     28 December, 2021     10:01 PM    


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, মদ ও অ্যালকোহলকে মাদক বলে চিহ্নিত করা আছে। যেহেতু আদালত থেকে নির্দেশনা এসেছে, এখন এটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। লিকারকে কীভাবে আলাদাভাবে দেখা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে জানাবো। আবার বসে ঠিক করব। মাদকদ্রব্যের তালিকা থেকে মদকে আলাদা করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চাকরিতে নিয়োগের সময় ‘ডোপ টেস্ট’ বাধ্যতামূলক করা হবে।

আজ (২৮ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। হাইকোর্ট গত ১৩ ডিসেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মাদকদ্রব্যের সংজ্ঞায় ‘অ্যালকোহল’কে রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করে। মদকে মাদকদ্রব্য আইনে শ্রেণিভুক্ত করা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা আইন, স্বরাষ্ট্র ও অর্থ সচিব এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।বাংলাদেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মদসহ স্বল্প অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় বিয়ারও মাদকের তালিকাভুক্ত।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানো হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। মাদকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হবে। সভায় মাদকদ্রব্য নিরাময় কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে ‘চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্র’ করার প্রস্তাব এসেছে। কারণ মাদকসেবীরা ৭০ শতাংশের ওপরে সুস্থ হয় না। আবার ব্যাক করে। চিকিৎসাকেন্দ্র শব্দটি সঙ্গে থাকলে উপযুক্ত হবে। শতভাগ নিরাময় করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চাকরিতে নিয়োগের সময় ‘ডোপ টেস্ট’ বাধ্যতামূলক করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন যত নিয়োগ হচ্ছে, সেখানে ডোপটেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।মাদকসেবীদের চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে, দেশে চার লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মাদক মামলা রয়েছে। এগুলো দ্রুত নিষ্পত্তিতে আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, সীমান্তে সমন্বিত ব্যবস্থায় মাদক নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ এসেছে। অনলাইনে মাদক বিক্রি শুরু হয়েছে, কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করে যারা এর সঙ্গে যুক্ত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক মামলা নিষ্পত্তিতে মাদক আইনে সুনির্দিষ্ট আদালত গঠনের কথা বলা হয়েছে, সেটি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে জটিলতা এসেছিল। পরে সিদ্ধান্ত হয় প্রত্যেক আদালতে অগ্রাধিকার দিয়ে মাদকের মামলা নিষ্পত্তিতে বিশেষ ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেবেন আইনমন্ত্রী। মাদক আইন পরিবর্তন করা হবে না। মাদক আমাদের দেশে তৈরি হয় না। ভারত কিংবা মিয়ানমার থেকে আসছে। নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে বান্দরবানের দিকে যতই যাবেন দুর্গম এলাকা। সীমান্ত এলাকায় যেতে দুই-তিন দিন লাগবে। আমরা সীমান্তে সড়ক করছি। দুই বছরের মধ্যে শেষ হবে। এটা হয়ে গেলে বর্ডার গার্ডরা সীমান্তে গিয়ে পাহারা দিতে পারবেন। অনেকখানি মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।মিয়ানমার এ ‍সুবিধা নিয়ে সড়ক পথে আবার জঙ্গল দিয়ে চলে আসে। কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করা হয়েছে, আরও শক্তিশালী করা হবে। টেকনাফের অধিবাসীদের আরও সচেতন করতে হবে, টেকনাফবাসী ইয়াবাকে মাদক নয়, ওষুধ মনে করে।