রহমত ডেস্ক 28 December, 2021 08:09 PM
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটিসহ সব পাওনা অবিলম্বে পরিশোধসহ ৩ দফা দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল করপোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী-কর্মকর্তা সমন্বয় পরিষদ। অন্য ২টি দাবি হচ্ছে— যে সকল অডিট আপত্তিসমূহ অনিষ্পত্তি আছে তা আগের সংস্থার নিয়ম মোতাবেক নিষ্পত্তিপূর্বক পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা করা এবং যে সকল মামলা-মোকদ্দমা অনিষ্পত্তি আছে তা নিষ্পত্তিপূর্বক পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা করা। দাবি আদায় না হলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বিজেএমসি প্রধান কার্যালয়ের সামনে গণঅনশনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে পরিষদটি।
আজ (২৮ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি ও হুঁশিয়ারির কথা জানান পরিষদের সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের আহ্বায়ক মো. ইসরাফিল খানসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল করপোরেশনের ২ হাজার ৫০০ জন কর্মচারী-কর্মকর্তা ২০১৩ সালের জুলাই মাস থেকে ন্যায়সঙ্গত পাওনা, গ্র্যাচুইটি, ভবিষ্যৎ তহবিলসহ (পিএফ) অন্যান্য পাওনাদি পায়নি। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার দীর্ঘ সময় পরও ভুক্তভোগীরা তাদের জীবনের শেষ সম্বল না পেয়ে ২০০-২৫০ জন বিনা চিকিৎসায়, খাদ্যাভাবে অর্ধাহারে মারা যান। এমনকি পাওনাদার অনেক কর্মচারী-কর্মকর্তাদের প্রায় ৭০-৮০ জন নমিনিও মারা গেছেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে অনেক কর্মচারী-কর্মকর্তারা এবং তাদের পরিবার পরিজনের অনেকে বার্ধক্যজনিত কারণে ও নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত। অর্থাভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাটুকু করতে পারছেন না। জীবনের তিন ভাগের দুই ভাগ সময় বিজেএমসির চাকরিতে অর্পিত দায়িত্বগুলো সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও এখন পর্যন্ত মাথা গোঁজার ঠাইটুকু করতে পারেনি।ধারাবাহিক আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার পরও আমাদের ন্যায্য পাওনাদি না পাওয়ায় আমরা এখন নিরুপায়। এ বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আর দাবি আদায় না হলে গণঅনশন করতে বাধ্য হবো।