রহমত ডেস্ক 27 December, 2021 06:30 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ছিলো বাংলাদেশ হবে একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আর্থ-সামাজিক সবকিছুতে সাম্য প্রতিষ্ঠা হবে। স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার থাকবে। কিন্তু আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এ আকাঙ্ক্ষাগুলো পূরণ করেছি বলে জোর গলায় দাবি করতে পারছি না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ওপর ‘মানুষ বিরক্ত’। সারাদেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। এরপরও সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেরা নিজেরা কী পরিমাণ সন্ত্রাস করেছে, কী পরিমাণ মৃত্যু হয়েছে। নৌকা প্রতীকের প্রতি মানুষের এত বিতৃষ্ণা যে, স্থানীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই বেশি পাস করেছে।
আজ (২৭ ডিসেম্বর) সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত মানবাধিকার ইস্যু এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। এম সরোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপন ও শামসুজ্জামান দুদুসহ সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টারের অন্যান্য সদস্যরা।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনী ধারা ফেরাতে ছাত্র ও যুব সমাজকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের বর্তমান অবস্থায় ছাত্র-যুবকদের সবচেয়ে বেশি সোচ্চার থাকার কথা ছিলো। সব অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম যারা সামনে আসে তারা ছাত্র-যুবক সমাজ। এটা সারাবিশ্বসহ আমাদের বাংলাদেশেরও ইতিহাস। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, আজ এতকিছু ঘটে যাওয়ার পরও বাংলাদেশের ছাত্র-যুব সমাজ নিশ্চুপ, এটা আশ্চর্যের বিষয়।
তিনি আরো বলেন, এ সরকারের অধীনে গণতন্ত্র আসবে না, সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থা আসবে না। অতএব আমাদের সামনে একটাই টার্গেট, যে যেখানেই থাকি না কেন বিশেষত ছাত্র-যুব সমাজকে দেশের বর্তমান অবস্থাটা বুঝে এগিয়ে আসতে হবে। এই সরকারের কাছ থেকে দেশকে মুক্ত করতে না পারলে জনগণের মুক্তিও হবে না। বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের ভাবমূর্তি বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত সম্মানের, উচ্চমানের। কিন্তু আজকের বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও ঘৃণার পাত্র, একটি স্বৈরশাসকদের দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্য এবং দুঃখজনক।