রহমত ডেস্ক 24 December, 2021 09:55 PM
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সংবিধানের ১১৮-২৬ ধারায় আইন প্রনয়নের জন্য সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। অথচ সরকার আইন প্রনয়ন না করে প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে রাষ্ট্রপতির সাথে কথিত সংলাপ- এর নামে একটি লোকদেখানো অর্থহীন রসালো সময় পার করে। যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর দেয়া কোন প্রস্তাবের তোয়াক্কা না করে নিজেদের আজ্ঞাবহ পকেট কমিশন গঠন করে পুনরায় ক্ষমতায় যাওয়ার সব বন্দোবস্ত করে। রাষ্ট্রপতির অতীতের সবকটি সংলাপ বিশ্লেষণ করলে যা সহজেই অনুমেয়। সংলাপের নামে এসব ভাঁওতাবাজি বাদ দিয়ে সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেয়া জোর দাবি জানাচ্ছি।
আজ (২৪ ডিসেম্বর) শুক্রবার সকালে রাজধানীর গুলিস্তানস্থ কাজি বশির মিলনায়তনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে তিনি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের পরিবর্তন করে ‘ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’ হিসেবে নতুন নাম ঘোষণা করে ২০২১ সেশনের কমিটি বিলুপ্ত করে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ২০২২ সেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন। ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরীফুল ইসলাম রিয়াদ ও সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিনের নাম ঘোষণা করেন।
চরমোনাই পীর আরো বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে একটি মাইলফলকে পৌঁছেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো একটি চিহ্নিতগোষ্ঠী স্বাধীনতার লক্ষ্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদের বিজয় বলে প্রোপাগান্ডা চালায়। অথচ মুক্তি যুদ্ধ কোন আদর্শিক লড়াই ছিল না। মুক্তি যুদ্ধ ছিল জালিমের জুলুমের বিরুদ্ধে মাজলুমের মুক্তি সংগ্রাম। কিন্তু সেই ইতরগুলো ইসলামকে মুক্তি যোদ্ধের মুখোমুখি দাঁড় করাবার ব্যর্থ চেষ্টা করে সৌহার্দ্য সম্প্রীতিময় এ জাতিকে বিভক্ত করতে চাই। এদের এই দুঃস্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন হবে না ইনশাআল্লাহ।
সম্মেলনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরামের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন এর সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, নায়েবে আমির মুফতি ফজলুল করিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান, জেনারেল (অব.) মুহাম্মাদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের স্থায়ী কমিটির সদস্য, আতিকুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, মাওলানা উবাইদুর রহমান খান নদভী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর আব্দুল লতিফ মাসুম প্রমুখ।