রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক 19 December, 2021 09:54 PM
আদালত প্রতিবেদক
শ্যালককে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে স্ত্রীসহ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এএসআই ওলিউল্লাহ সরকারের (সোহেল) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে এক কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম বেগম তামান্না ফারাহ বাদীনির জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- ওলিউল্লাহ সরকারের স্ত্রী রোকেয়া ওরফে রুনা ও শ্যালক হাফিজুর রহমান মেহেদী।
মামলার আরজি থেকে জানা যায়, ভিকটিমের সঙ্গে রোকেয়ার পরিচয় হয়। এ সূত্রে ভিকটিম তাদের সঙ্গে গত বছর ২৫ জানুয়ারি সাবলেট হিসেবে রুম ভাড়া নেন। রোকেয়ার ভাই হাফিজুর রহমান মাঝে মধ্যে বোনের বাসায় আসা যাওয়া করতো। ওলিউল্লাহ ও রোকেয়া ভিকটিমের সঙ্গে হাফিজুরকে অবিবাহিত বলে পরিচয় করে দেন। এরপর ভিকটিম ও রোকেয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বন্ধুত্বের সুবাদে হাফিজুর রহমান ভিকটিমকে কুপ্রস্তাব দেন। ভিকটিম অতিষ্ঠ হয়ে হাফিজুরকে বলেন বিয়ে করতে। হাফিজুর এতে রাজি হয়। গত ২১ মার্চ একটি হলফনামা তৈরি করে হাফিজুর দাবি করে ভিকটিমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। ৬ লাখ টাকার একটি কাবিননামাও দেখায়। পরে ভিকটিমসহ তিন আসামি একত্রে বসবাস করতে থাকেন। হাফিজুরের কর্মস্থল ছিল ময়মনসিংহ শহরে। এজন্য ভিকটিমকে মাঝে মধ্যে সেখানে রেখে স্ত্রী হিসেবে ব্যবহার করতো। এ অবস্থায় ভিকটিম গর্ভবতী হলে গত ৩০ অক্টোবর আসামিরা জোর করে তাকে ওষুধ সেবন করিয়ে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে। পরবর্তীতে ভিকটিম হাফিজুরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে হাফিজুর ভিকটিমকে জানায়, তাকে সে বিয়ে করেনি। মিথ্যা হলফনামা করে ধর্ষণ করেছে।
/জেআর/