রহমত ডেস্ক 14 December, 2021 07:13 PM
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মার্কিন প্রশাসনের সব সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। যুক্তরাষ্ট্রেও প্রতি বছর লাখ লাখ লোক নিখোঁজ হয়, পুলিশের গুলিতে হাজারও মানুষ মারা যায়। কিন্তু তার জন্য বাহিনীর সদস্যদের কোনো শাস্তি দেওয়া হয় না।আমেরিকার সব সিদ্ধান্ত সঠিক এমন না। এর ভুরিভুরি এক্সাম্পল (উদাহরণ) রয়েছে। আমরা আশা করি, ওই দেশে পরিপক্ব লোকজন আছেন, জ্ঞানী লোক আছেন, তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবেন। আমরা এখন সেই প্রচেষ্টাই চালাবো। তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) ভারতীয় রাষ্ট্রপতির আসন্ন সফর উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেছেন। আগামীকাল বুধবার রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা আসছেন। তার সঙ্গে ভারতের ফার্স্ট লেডি, রাষ্ট্রপতির কন্যা, ভারতের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, দুইজন সংসদ সদস্য এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছেন। ঢাকা সফরকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষের সমাপনী দিন ও বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর সেখানে হাজারখানেক লোককে পুলিশ মেরে ফেলে। গুলি করে মেরে ফেলে। আর আমাদের এখানে কালেভদ্রে একজন-দুজন মারা যায়। কিন্তু আমেরিকায় যে এত লোক মারা যায়, এ নিয়ে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম-টাধ্যম খুব... কারণ তারা মনে করে, লাইন অব ডিউটিতে এই কাজটা করেছে। আর আমাদের দেশে যে সংস্থার ওপর এই স্যাংশনটা এসেছে, এই সংস্থাটি আমেরিকার যে গ্লোবাল পলিসি –সন্ত্রাস দমন– আমাদের দেশে র্যাব এই সন্ত্রাস দমনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। শুধু সন্ত্রাস না, ড্রাগ ট্রাফিকিং (মাদকপাচার) বলেন, যেটা আমেরিকার একটা বড় ইস্যু, সেটাতেও তারা সাহায্য করছে। তারপরে ক্রাইমও কিন্তু কমে।
তিনি আরো বলেন, র্যাব ‘বাই এনলার্জ’ (সামগ্রিকভাবে), ওরা কিন্তু দুর্নীতিপরায়ণ না যে টাকা-পয়সা দিয়ে অবস্থা পরিবর্তন করাবে। এর ফলে তারা বাংলাদেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। এবং আমেরিকায় তো এই যে বললাম, ছয় লাখ লোক নিখোঁজ হয়, হাজার হাজার লোক পাওয়া যায় মৃত অবস্থায়, সেই জন্য সেসব প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করেন, তাদের ওপর কোনো পানিশমেন্ট আমি শুনিনি কোনোদিন। কিন্তু বাংলাদেশে… আমরা এত শক্তিশালী দেশ নই, তার ফলে হঠাৎ করে কোনো লোকের প্ররোচণায় বা কোনো সংস্থার, বিভিন্ন হিউম্যান রাইটস এনজিওর… এর ফলে এরকম একটা বড় ডিসিশন নিলো আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা না বলে; যেখানে আমাদের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের সঙ্গে আলাপ করছি। এসব কিছুই না জানিয়ে হঠাৎ করে এরকম সিদ্ধান্ত… আমরা এটা আলোচনা করবো।