রহমত ডেস্ক 06 December, 2021 03:07 PM
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের রক্তের সম্পর্ক, তাই একদিন দেশটিতে যেতে কোনো ভিসা লাগবে না। ভারতের কারণে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সম্মান বেড়েছিল, এখনও বাড়ছে। ভারতসহ ১৮টি দেশের সাথে স্বাধীনতা উদযাপন করছি। ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক সোনালি অধ্যায়ে পৌঁছেছে। আমাদের সম্পর্কটা এতটা সলিড যে আমরা সোনালী অধ্যায়ে পৌঁছে গেছি। দু’দেশের গভীর সম্পর্কের দিকে সারা পৃথিবী তাকিয়ে আছে। আজকেও গভীর সম্পর্কের কারণে সারা পৃথিবী আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক একটি মডেল। আমাদের যতগুলো বড় বড় সমস্যা সেগুলো আমরা ডায়লগ তথা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছি। আমরা এখানে একটি বুলেটও খরচ করিনি। এটা আমাদের দেশে দেশে পৌঁছে দিতে হবে। যেন অন্যরা এটা অনুকরণ করে।
আজ (৬ ডিসেম্বর) সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম আয়োজিত ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যকরী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, ঢাকায় নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টশীল, ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী প্রমুখ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর হয়েছে। আগামী ৫০ বছরে আমাদের যত ধরনের সমস্যা আছে সব সমাধান করব। আমরা ডায়লগ এবং আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করব। আমিতো সেই দিনের আশায় আছি, দু’দেশের মানুষের আসা-যাওয়ায় কোনো ভিসা লাগবে না। আমরা সড়ক, রেল ও নৌ-পথে আরও কানেকটিভিটি বাড়াতে চাই। ভারতের সোলজার আমাদের জন্য রক্ত দিয়েছেন। আমরা রক্তের সম্পর্ককে আরো গভীরভাবে উদযাপন করতে চাই। ভারতের সঙ্গে ১৮টি দেশে মৈত্রী দিবস পালন করছি। আমরা আশা করব, আগামীতে বাংলাদেশের যত মিশন আছে ভারত ও বাংলাদেশ মিলে মৈত্রী দিবস পালন করব। এক্ষেত্রে আমি ভারতীয় সরকারের সাহায্য চাই।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়াতে কানেকটিভিটিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। ভারত, ভুটান, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কানেকটিভিটি নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী আলাপ করেছেন। আমরা ভারতের সঙ্গে কানেকটিভিটিতে এমন উন্নয়ন চাই সারাবিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কাজ করার মতো অনেক সুযোগ আছে। আমরা কানেকটিভিটির ক্ষেত্রে ভুটানের সঙ্গে দুটো বন্দর খুলে দিয়েছি। বাংলাদেশ-ভারত ও ভুটান মিলে নদীপথ ব্যবহার করতে পারি। ভারত রাজি হয়েছে।