বাংলাদেশের গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা পায় : হানিফ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, পৃথিবীর যে কোনো রাষ্ট্রের তুলনায় বাংলাদেশের গণমাধ্যম বেশি স্বাধীনতা পায়, গণমাধ্যম আমাদের সব খবর জানার সুযোগ করে দিচ্ছে। আমরা চাই দেশের গণমাধ্যম ভালো থাকুক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমি বলব, বাংলাদেশের গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা পায়। চাইলেই যে কোনো খবর ছাপা যায়। কোনো ভুল তথ্য দিয়ে দিলে সেটার ক্ষমা চাইলেই শেষ, কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব বা উন্নত বিশ্বে ভুল খবরের কারণে পত্রিকার ডিকলারেশন বাতিল হয়ে যায়। বাংলাদেশে গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি স্বাধীন এবং তারা পুরোপুরি স্বাধীনতা ভোগ করছে। দেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে টকশো, অনুষ্ঠানে আলোচকরা কোনো ধরনের সেন্সর ছাড়া সরকারের কর্মকান্ডের যথেচ্ছা সমালোচনা করেন। এ ধরনের স্বাধীন মতপ্রকাশে সরকার কখনো হস্তক্ষেপ করে না, কোনো ধরনের বাধার সৃষ্টি করে না।

আজ (২ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিবার্তা২৪ ডটনেট ও জাগরণ টিভি যৌথভাবে আয়োজিত ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গণমাধ্যম : ভূমিকা ও সংকট’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। বিবার্তা২৪ ডটনেটের সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, উইমেন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ-ডব্লিউজেএনবির সমন্বয়ক আঙ্গুর নাহার মন্টি প্রমুখ।

হানিফ বলেন, ২০০৭ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা আত্মসাতের কারণে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মামলা হলো। বিএনপির বড় বড় আইনজীবীরা তার জন্য লড়েছেন। সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে দন্ড দিয়েছে। নৈতিক স্খলনের কারণে তার শাস্তি হয়েছে। দেশের আইনে দন্ড স্থগিত অবস্থায় কেউ দেশের বাইরে যেতে পারে না। একমাত্র দন্ড মওকুফ হলে তিনি বিদেশে যেতে পারেন। দোষ শিকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ আছে। রাষ্ট্রের অভিভাবক দয়ালু মানুষ। তিনি চাইলে ক্ষমা করে দিতে পারেন।