| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক প্যান্ডোরা পেপারস কেলেঙ্কারি : টালমাটাল বিশ্ব


প্যান্ডোরা পেপারস কেলেঙ্কারি : টালমাটাল বিশ্ব


রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক     04 October, 2021     01:17 AM    


প্যান্ডোরা পেপারস কেলেঙ্কারিতে বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। নড়েচড়ে বসেছেন বিশ্বের নামিদামি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের সরকার। পেপারস ফাঁসের ঘটনায় প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ নথি উন্মোচিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের অনেক ধনী ও ক্ষমতাবান ব্যক্তির অর্থ পাচার, কর ফাঁকি ও গুপ্ত সম্পদের তথ্য সামনে এসেছে।

প্যান্ডোরা পেপারস ফাঁস হওয়ায় দেখা গেছে, ৯০টি দেশের ৩৩০ জনেরও বেশি রাজনীতিবিদ তাদের সম্পদের তথ্য গোপন রাখতে অফশোর কোম্পানি ব্যবহার করেছেন।

জানা যায়, প্যান্ডোরা পেপারসের মধ্য দিয়ে ৬৪ লাখ নথি, ৩০ লাখ ছবি, ১০ লাখের বেশি ই–মেইল এবং প্রায় ৫ লাখ হিসাবের নথি (স্প্রেডশিট) উন্মোচিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এর আওতায় অসংখ্য গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যান্ডোরা পেপারসের মাধ্যমে বের হয়ে এসেছে যে, দেশের সীমানার বাইরে অবস্থিত কোম্পানি ব্যবহার করে নিজেদের অর্থ ও সম্পদের মালিকানার তথ্য গোপন রাখেন ক্ষমতাবানেরা।

যেমন কোনো একজনের হয়তো যুক্তরাজ্যে সম্পদ রয়েছে, কিন্তু অন্য দেশে অবস্থিত কোম্পানি বা অফশোরের মাধ্যমে তারা এর মালিকানা অর্জন করেছে।

১১৭টি দেশের ৬০০–এর বেশি সাংবাদিক কয়েক মাস ধরে ১৪টি উৎস থেকে নথিগুলো সংগ্রহ করেছেন। আর গোপন সে নথিগুলোই এখন জনসমক্ষে প্রকাশ করা হচ্ছে। বিশ্বগণমাধ্যম এ মহাযজ্ঞের নাম দিয়েছে ‘প্যান্ডোরা পেপারস’। অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) উদ্যোগে মূলত নথিগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৪০টির বেশি মিডিয়া প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করা এ সংগঠনের জন্য এটি এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক অনুসন্ধান।

উল্লেখ্য, অফশোর কোম্পানি হলো কাগজে-কলমে নামমাত্র কোম্পানি। এর কোনো কার্যালয় কিংবা কর্মী থাকে না। তবে এর পেছনে অর্থ খরচ হয়। যিনি কোম্পানির মালিক, তার পক্ষ থেকে কোম্পানি গঠন ও পরিচালনার জন্য বিশেষজ্ঞ ফার্মগুলোকে অর্থ পরিশোধ করতে হয়। এসব ফার্ম প্রতিষ্ঠানটির একটি ঠিকানা ঠিক করে দিতে পারে এবং বেতনভুক্ত পরিচালকদের নাম জানাতে পারে। তবে সত্যিকার অর্থে ওই ব্যবসার নেপথ্যে কে আছে, তা জানার সুযোগ থাকে না।

/জেআর/