বরিশাল সংবাদদাতা 25 September, 2021 11:57 PM
ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে একটি মসজিদ। ফলে ওই এলাকার বাসিন্দারা নামাজ পড়ছেন রাইস মিলে। ঘটনাটি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ বাজারের। এখানকার আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে ঐ এলাকার একমাত্র পাঞ্জেগানা মসজিদ।
অর্থ সংকটে মসজিদ পুনঃনির্মাণ করতে ব্যর্থ হয়ে মুসুল্লিরা স্থানীয় রাইস মিলে নামাজ আদায় করছেন। যতবার নদী ভাঙে ততবারই স্থানান্তরিত করা হয় মীরগঞ্জ বাজার মসজিদটি। ফলে মসজিদ পুনঃনির্মাণে বারবার বিপাকে পড়তে হয় মসজিদ পরিচালনা কমিটির। তাই স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন মুসুল্লিরা।
বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের মীরগঞ্জ বাজারের একমাত্র মসজিদটি আড়িয়াল খাঁ নদীর তীরে ছিল। ভাঙন থেকে রক্ষা করতে পূর্বে একাধিকবার মসজিদ স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
সম্প্রতি ওই এলাকায় ফের নদী ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করলে মসজিদ বিলীনের উপক্রম হয়। তখন স্থানীয়রা মসজিদটি ভেঙে ফের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেয়। মসজিদ পুনঃনির্মাণের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হলেও অর্থের সংকট থাকায় নির্মাণকাজ চলমান রাখতে ব্যর্থ হয়েছে মসজিদ পরিচালনা কমিটি। তাই পার্শ্ববর্তী একটি রাইস মিলকে অস্থায়ী মসজিদ বানিয়ে প্রতি ওয়াক্তে গড়ে ৫০ জন মুসুল্লি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছেন।
মসজিদের ইমাম রিয়াজুল ইসলাম বলেন, মীরগঞ্জ বাজার যতবার ভেঙেছে, মসজিদটিও ততোবার ভাঙা হয়েছে। মসজিদটি পাঞ্জেগানা হলেও বাজার এলাকার কাছাকাছি আর কোনো মসজিদ না থাকায় এটার গুরুত্ব অনেক বেশি। যেখানে প্রতি ওয়াক্তে গড়ে অর্ধশত মুসুল্লি নামাজ আদায় করছেন।
মসজিদ স্থানান্তরিত হওয়ার পর এখন বাধ্য হয়ে একটি রাইস মিলে নামাজ আদায় করা হচ্ছে। বাজার এলাকার পশ্চিম পার্শ্বে মসজিদটি পুনঃনির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানেই মসজিদ নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু হলেও অর্থ সংকটের কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহমুদ বলেন, মসজিদটির বিষয়ে আমি শুনেছি। কিন্তু বছরের শেষ দিকে সরকারিভাবে অনুদানের কোনো ব্যবস্থা নেই। তবুও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমীনুল ইসলামকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্থ করেছেন। তাছাড়া আমি নিজেও মসজিদটি পুনঃনির্মাণে আর্থিক সহায়তা করব।
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্থ করেছেন। এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও মসজিদটি নির্মাণে এগিয়ে এলে এ কাজ তাদের জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।
/জেআর/