| |
               

মূল পাতা ইসলাম চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ‘মুফতিয়ে আজম’, জানাযায় লাখো মানুষ


চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ‘মুফতিয়ে আজম’, জানাযায় লাখো মানুষ


রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক     09 September, 2021     08:00 AM    


লাখো মানুষ চোখের জলে বিদায় দিলেন মুফতিয়ে আজম আব্দুস সালাম চাটগামীকে। তাকে দাফন করা হয়েছে তার দুই প্রিয় সহকর্মী হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও মাদরাসার সাবেক শিক্ষাপরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর পাশে।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় হাটহাজারী মাদরাসায় আব্দুস সালাম চাটগামীর জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন হেফাজতে ইসলামের আমীর বাবুনগর মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।

এর আগে, একই দিন দুপুর বারোটার দিকে হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার সদ্য নির্বাচিত মহাপরিচালক ও মাদরাসাটির প্রধান মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

বুধবার সকালে মাদরাসার শূরা কমিটির বৈঠকে তাকে মাদ্রাসার মহাপরিচালক করার সিদ্ধান্ত হলেও ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।। এর কিছুক্ষণ পরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মাওলানা আবদুস সালাম চাটগামী।

মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, শূরা কমিটির বৈঠকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে, ওই বৈঠকে সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামীকে ‘মহাপরিচালক’ করা হয়। পাশাপাশি মাওলানা শেখ আহমদকে প্রধান শায়খুল হাদিস এবং মাওলানা ইয়াহইয়াকে সহাকারী পরিচালক করা হয়। এদিন সকাল ১০টার দিকে আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে  শূরা কমিটির বৈঠকটি শুরু হয়।

উল্লেখ্য, মুফতি আবদুস সালাম চাটগামী ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের উপর অনেক গ্রন্থ রচনা করে গেছেন। তার রচিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে ‘জাহিরুন ফতোয়া’একটি অনবদ্য ফতোয়া গ্রন্থ। তিনি ছিলেন পাক-ভারত উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুফতি।

মুফতি আবদুস সালাম চাটগামী ১৯৪৩ সালে (১৩৬৩ হিজরী) চট্টগ্রাম জেলা আনোয়ারা উপজেলার নলদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেশে লেখাপড়ার করার পর উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ করার জন্য পাকিস্তানের করাচি চলে যান। তিনি সেখানে লেখাপড়াশেষ করার পর প্রথমে শিক্ষক, পরে পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান মুফতি ছিলেন। তিনি দেশে এসে হাটহাজারী মাদরাসায় যোগদান করলেও নিয়মিত করাচি যাওয়া আসা করতেন। হাটহাজারী মাদরাসার প্রধান মুফতি ছিলেন তিনি। আল্লামা শাহ আহমদ শফির ইন্তেকালের পর হাটহাজারী মাদরাসার তিন সদস্যবিশিষ্ট মুহতামিমের তিনি ছিলেন প্রধান।

/জেআর/