| |
               

মূল পাতা ইসলাম মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী: পাকিস্তানের মুফতি চিটাগাংয়ের রত্ন!


মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী: পাকিস্তানের মুফতি চিটাগাংয়ের রত্ন!


আলী হাসান তৈয়ব     08 September, 2021     03:12 PM    


তখন আমি পটিয়ায় পড়ি। জামেয়ার বিশাল লাইব্রেরিতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। সেখানে থরে থরে সাজানো নানা ভাষায় বিচিত্র বিষয়ের অসংখ্য বই। খুব অবাক হয়ে দেখতাম উর্দু ভাষায় অনেকগুলো কিতাবে লেখকের নাম ‘মুফতি আবদুস সালাম চাটগামি’।

হিসাব মেলাতে পারতাম না। পাকিস্তানের বড় জামেয়ার এত বড় মুফতি। তাও সেখান থেকে প্রকাশিত তাঁর এত এত গ্রন্থ! কিন্তু তিনি চাটগামি! মানে আমাদের চিটাগাংয়ের এত বড় রত্ন! একদিন লাইব্রেরির জিম্মাদার উস্তাযকে জিজ্ঞেস করলাম। তার কাছেই প্রথম চিনলাম তাঁকে।

পটিয়ায় থাকতেই একদিন বলেছিলাম, ইনি যদি দেশে আসেন, তাহলে তাঁর লেখা হয়তো কমে যাবে। এদেশে মাদরাসা আর পারিপার্শ্বিক ঝামেলায় গবেষণার ধারা অব্যাহত রাখার নজির কম।

আমি ঢাকায় চলে আসার পর তিনি দেশে ফেরেন। হাটহাজারীর মাদ্রাসার প্রধান মুফতি হিসেবে দীর্ঘদিন থাকলেন। তাঁর ছাত্রদের কাছে প্রশংসা ও মুগ্ধতার কথা শুনে শুনে বারবার মনে হয়েছে একদিন গিয়ে শুধু মোসাফাহা আর দোয়া চেয়ে আসব। বদনসিব আমি, আগামীর জন্য ফেলে রাখলে বঞ্চনা ছাড়া কিছুই মেলে না।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় হেফাজতকেন্দ্রিক হাটহাজারীর আলোচনায় তাঁর কথাও নানাভাবে মিডিয়ায় এসেছে। তবুও তাঁর গবেষণা বা লেখালেখি নিয়ে তেমন আলোচনা দেশে কখনো চোখে পড়েনি। অথচ তিনি পাকিস্তানে থাকতে এসবের চূড়ায় এবং আলোচনার কেন্দ্রেই ছিলেন। আমরা যে গুণীদের কদর করতে পারি না, তা আবারও প্রমাণ হলো।
জাতির দুই রাহবার আল্লামা শাহ আহমাদ শফি ও আল্লামা বাবুনগরি (রহিমাহুমাল্লাহ) স্বল্প সময়ে চলে যাবার পর আজ কিছুক্ষণ আগে তিনি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন। তারপর অকস্মাৎ তিনিও লাব্বাইক বললেন আগের দুই রাহবারদের কাতারে। আমরা আরও বঞ্চিত হলাম।

আফসোস, এই জাতি তাঁর কাছ থেকে আরও কত কিছু পেতে পারত! কত বেশি ঋব্ধ ও আলোকিত হতে পারত। এখন মরহুমের ছাত্রদের ওপর দায়িত্ব অন্তত তাঁর ফতোয়াগুলো প্রকাশ ও প্রচারের ব্যবস্থা করা।

ইন্নালিল্লাহি মা আখাযা। শায়খকে আল্লাহ জান্নাতুল ফিরদাউসে আসীন করুন আর এই হতভাগা জাতিকে উত্তম বিকল্প দান করুন।

লেখক : সহসম্পাদক, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ