মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 04 August, 2021 12:03 PM
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় পৃথক দুইটি ধর্ষণের ঘটনায় দুইজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এদের মধ্যে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর চন্দ্র সরকার (২৮) ও ঘরের জানালা ভেঙে এক গৃহবধূকে (২৪) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে হাবিবুর রহমান নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে মুরাদনগর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে আটককৃত দুই যুবকে কুমিল্লা জেলা আদালতে মুরাদনগর থানা পুলিশ হাজির করা হলে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠায় জেলা আদালত। আটককুতরা হলো, কিশোর চন্দ্র সরকার উপজেলার পদুয়া গ্রামের সুকেন চন্দ্র সরকারের ছেলে ও হাবিবুর রহমান (২৮) উপজেলার রহিমপুর গ্রামের মোঃ মজিবুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোর চন্দ্র সরকার প্রতিবন্ধী কিশোরীকে টাকা ও চিপ্স কিনে দেওয়ার কথা বলে সঞ্জু চন্দ্র সরকারের রান্না ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই কিশোরী ঘটনাটি তার পরিবারকে অবহিত করে।
এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে বিষয়টিকে সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে না পারায়, সোমবার রাতে মুরাদনগর থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন ওই কিশোরীর মা। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর চন্দ্র সরকারকে গ্রেফতার করে।
অপর দিকে উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই গৃহবধূ প্রতিদিনের মতো শাশুরির ঘর থেকে তার নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। পরে রাত ২টার দিকে হাবিবুর রহমান তার সহযোগীদের সহায়তায় ঘরের জানালা ভেঙে কেচি দিয়ে ওই গৃহবধূর শরীরের কাপড় কেটে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ সময় তার চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা লোকজন এগিয়ে এলে হাবিবুর রহমান ওই গৃহবধূর মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ সোমবার রাতে মুরাদনগর থানায় বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাদেকুর রহমান জানান, পৃথক দুইটি ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ দুই যুবককে গ্রেফতার করে। পরে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে আটককৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে মঙ্গলবার দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
/জেআর/