রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক 20 April, 2021 07:11 PM
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, গতকাল (সোমবার) রাতে আমার ৭ অনুসারীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। রাতে পুলিশ এদের অমানবিক নির্যাতন করেছে। এ নির্যাতন ৭১ এর হানাদার বাহিনীর বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।
তিনি বলেন, আমি আজ (মঙ্গলবার) সকালে থানায় তাদের দেখে আসার পথে এডিশনাল এএসপি শামীম ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি আমার গায়ে হাত তুলেছে, আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমার পৌরসভার কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান সাজুকে মারধর করেছে, তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে। আজকে আমার ওপর পুলিশি তাণ্ডব চলছে। গত ৩ মাস যাবত এ তাণ্ডব চলে আসছে। কোম্পানীগঞ্জে কুলাঙ্গার ওসি রনি আমার গায়ে হাত দেয়। আমার ছেলেদেরকে যদি ক্রসফায়ারে দেয়া হয়, তবে কোম্পানীগঞ্জে রক্তের হোলি খেলা চলবে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে নিজ ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে ২৪ মিনিটের বক্তব্যে এসব কথা বলেন কাদের মির্জা।
তিনি বলেন, আমি খবর পেয়েছি এস.পি, এ.এস.পি ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমার দলের গ্রেপ্তারকৃত নেতা সিরাজপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মিকনকে ক্রস ফায়ারে দেবে। এধরনের ঘটনা কোম্পানীগঞ্জে কোনদিনও ঘটতে দেইনি। যদি এধরনের কোন ঘটনা ঘটে তাহলে কোম্পানীগঞ্জে রক্তের হলি খেলা চলবে। কারো সন্তান রক্ষা পাবে না। হত্যার বদলে হত্যা হবে। কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। পুলিশ তুমি যতই কর, তোমার বেতন ৪১২।
কাদের মির্জা আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা আমার ছেলের ওপর হামলা করেছে, আমার বাড়িতে বোমা হামলা করেছে। এঘটনায় একজনকেও গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। অথচ আমার পৌরসভা কার্যালয়ে ইফতার নিয়ে আমার অনুসারীরা ঢুকতে পারে না। তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: চট্টগ্রাম নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ