‘আল্লা মেঘ, পানি দে’র কবি আবদুল হাই মাশরেকীর ১১২তম জন্মবার্ষিকী আজ

লোকজীবনের অভীপ্সার রূপকার, বাংলা কাব্য-সাহিত্যের মাটি ও মানুষের কবি আবদুল হাই মাশরেকীর ১০২তম জন্মবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে ময়মনসিংহে কবি আবদুল হাই মাশরেকী পরিষদ আয়োজিত কর্মসূচি করোনার কারণে সীমিত করা হয়েছে। এদিন শুধু কবির মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হবে।

আবদুল হাই মাশরেকী এদেশের সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা রূপকার ও কৃষক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী কবি। আল্লা মেঘে দে পানি দে, আমার কাঙ্খের কলসী গিয়াছে ভাসি, বহু দিনের পিরিত বন্ধু, তারা মরে নাই তারা যে অমর, বাংলা মা তোর শ্যামল বরণসহ গ্রামবাংলার মানুষের মুখে ভেসে বেড়ানো অনেক জনপ্রিয় গানের রচয়িতা তিনি।

বাংলাসাহিত্যে লোকজ বিষয় ও শব্দ গাথুনির আধুনিক কাব্য স্রষ্টা আবদুল হাই মাশরেকী। তিনি আধুনিক কবিতার পাশাপাশি লিখেছেন পল্লীগীতি, আধুনিক গান, জারী, পুঁথি, গীতিনাট্য, গল্প, নাটক। করেছেন অনুবাদ। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সাংবাদিকতা। ১৯৭৬ সালে মাসিক কৃষিকথা সম্পাদক থেকে অবসর নিয়ে তাঁর নিজ বাড়িতে অবসরে যান।

আবদুল হাই মাশকেী ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাঁকনহাটি গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৯ সালে ১ এপ্রিল।  পিতা ওসমান গণি সরকার। তিনি জমিদার বিরোধী আন্দোলনের তেজোদীপ্ত নায়ক ছিলেন। মাতা গৃহিনী রহিমা খাতুন। ১৯৮৮ সালে ৪ ডিসেম্বর দত্তপাড়া গ্রামে নিজবাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

কবি আবদুল হাই মাশরেকীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : কিছু রেখে যেতে চাই (কাব্য), হে আমার দেশ (কাব্য), ভাটিয়ালী (গীতিনাট্য ও কাব্য), মাঠের কবিতা মাঠের গান (কাব্য), কুলসুম (গল্প) বাউল মনের নক্শা (গল্প), মানুষ ও লাশ (গল্প), নদী ভাঙে (গল্প), সাঁকো (নাটক), নতুন গাঁয়ের কাহিনী (নাটক), রাখালবন্ধু (পালাগান), জরিনা সুন্দরী (পালাগান), ডাল ধরিয়া নুয়াইয়া কন্যা (পল্লীগীতিকা), হযরত আবু বকর (রাঃ) পুঁথি কাব্য, দুখু মিয়ার জারী, অভিশপ্তের বাণী (খণ্ড কাব্য), দেশ দেশ নন্দিতা (কাব্য), কাল নিরবধী (কাব্য), হুতুম ভুতুম রাত্রি (শিশুতোষ) আকাশ কেন নীল (অনুবাদ)।