যেভাবে বুঝবেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেমন

শক্তসমর্থ শরীর রোগের সঙ্গে লড়াই করে শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিতে সহযোগিতা করতে পারে। এর জন্য দরকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত থাকা। যার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত প্রবল, তার রোগ হলে দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। আসুন, জেনে নিই, আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা দুর্বল!

ঘন ঘন সংক্রমিত হওয়া :
এটি মেডিক্যালি প্রমাণিত যে আপনার যদি পাঁচবারেরও বেশি কানের সংক্রমণ হয়, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাকটেরিয়াল সাইনোসাইটিস বা দু'বারের বেশি নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হন তাহলে আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ আছে। এই ঝুঁকিগুলো যদি মোকেবেলা না করতে পারে তবে আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল।

জয়েন্টে ব্যাথা :
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নাজুক হলে আপনি রক্তনালীতে প্রদাহ, ভ্যাসকুলাইটিসের সমস্যায় ভুগতে পারেন। এতে করে পেশীতে ব্যাথা হবে।

ঠাণ্ডার সমস্যা :
চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্করা সাধারণত বছরে দুই থেকে তিনবার সাধারণ সর্দিতে ভুগতে পারেন। তবে যাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল সারা বছর জুড়ে দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে। সাধারণ ক্ষেত্রে, প্রতিরোধ ব্যবস্থা অ্যান্টিবডিগুলো তৈরি করতে কাজ করে।

আরোগ্য লাভে দেরি হওয়া :
একটি দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা দ্রুত নতুন ত্বক তৈরি করতে পারে না, ফলে ক্ষত খুব ধীরে স্বাভাবিক হয়।রোগ প্রতিরোধ হলো স্বাস্থ্যকর প্রতিরোধক কোষ, যা ত্বকের ক্ষতি দ্রুত সারিয়ে তোলে।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা :
আপনার যদি যে কোন বিষয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হয় তবে তা ভালা লক্ষণ না।  দীর্ঘদিন এমন হতে হতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলে। এতে  শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা এবং শরীরে লিম্ফোসাইটগুলি হ্রাস পায় যা সাধারণত সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি সাধারণ সর্দি, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও হ্রাস করে।

দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা :
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হজমের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এজন্য কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, গ্যাস, ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।

অবসাদ :
রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলেও দূর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য আপনার সারাদিন ঘুম আসবে। এতে করে শরীর ক্লান্ত হবে আস্তে আস্তে।
-জেড