রহমত টোয়েন্টিফোর ডটকম 05 January, 2021 08:22 PM
নোয়াখালী রুটের ছয়টি স্টেশনের মধ্যে তিনটি স্টেশনের টিকিট বিক্রির ৯২ হাজার টাকা হদিস পাচ্ছে না রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল। এ ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা-নোয়াখালী রুটের ৬টি স্টেশন রয়েছে। এরমধ্যে মাইজদী, মাইজদী কোর্ট স্টেশন ও নাথেরপেটুয়া স্টেশনে টিকিট বিক্রির ৯২ হাজার টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। গত ২৯ ডিসেম্বর নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনের এসব টিকিট বিক্রি করা হয়।
সূত্র জানায়, ওইদিনই টিকিট বিক্রির টাকাগুলো সীলগালা করে সিন্দুকে ঢুকিয়ে তা লাকসাম স্টেশন মাস্টার বরাবর পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে লাকসাম স্টেশন মাস্টার সিন্দুকটি গার্ড থেকে বুঝে নিয়ে ময়মনসিংহ থেকে আসা চট্টগ্রামগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনে তুলে দেন।
ট্রেনের দায়িত্বরত গার্ড চট্টগ্রাম পে অ্যান্ড ক্যাশ অফিসে সিন্দুকটি বুঝিয়ে দিতে গেলে দেখতে পান সিন্ধুকটির তালা ভাঙা। সিন্দুকে নেই ৯২ হাজার টাকা। এ ঘটনায় ৩০ ডিসেম্বর চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় রেলওয়ে।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ৬টি স্টেশনের মধ্যে তিনটি স্টেশনের টিকিট বিক্রির ৯২ হাজার টাকা হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় কারা জড়িত, তা এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তবে আমরা তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসেনের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এটির সঙ্গে যিনি জড়িত বা যার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তাকে টাকাগুলো ফেরত দিতে হবে।