রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক 29 December, 2020 12:38 PM
দ্বিতীয় দফায় ভাসানচরে যাচ্ছে আরও এক হাজার ৭৭২ জন রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় এর আগের দলটি সেখানে পৌঁছার পর স্বজনদের কাছে বার্তা পাঠায় যে ভাসানচরের পরিবেশ ভালো ও নিরাপদ। তাদের সেই বার্তায় আশ্বস্ত ও উদ্বুদ্ধ হয়ে আরো প্রায় সাত হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাওয়ার জন্য নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নৌবাহিনীর জেটি থেকে প্রথম জাহাজটি রওনা হয়। এরপর ভাসানচরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় আরো ৪টি জাহাজ।
এর আগে, গতকাল সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসে করে রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। রাতে তাদের রাখা হয় বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে। গতকাল দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা করে ১৭৭২ জন।
কক্সবাজারের উখিয়া থেকে গতকাল দুপুরে প্রথম দফায় ১৩টি যাত্রীবাহী বাসে ওঠে ৫৯৫ রোহিঙ্গা। তাদের গাড়িবহরের সামনে পুলিশের কড়া পাহারা ছিল। এর প্রায় তিন ঘণ্টা পর আরো ১১টি বাসে ওঠে ৫৩৯ জন। পর্যায়ক্রমে ৩৩টি বাসযোগে ৪২৭টি পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুরা কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়।
এসব রোহিঙ্গা আগে থেকেই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া শেষ করেছিল। আজ দুপুরে ভাসানচরে পৌঁছার মধ্য দিয়ে তাদের প্রায় ২৪ ঘণ্টার কক্সবাজার-নোয়াখালী সফর শেষ হবে। নতুন বসতিস্থল ভাসানচরে আগে থেকেই সরকার আধুনিকভাবে রোহিঙ্গাদের জন্য ঘর নির্মাণ করে রেখেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রথম দফায় সফলভাবে ৪ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো ভাসানচরে নেওয়া হয় এক হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গাকে।
-জেড