জেলা প্রতিনিধি, পাবনা 07 November, 2020 12:41 PM
প্রথমে প্রেম পরে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ। ফলে ৭ম শ্রেনী পড়ুয়া এক স্কু ছাত্রী এখন ৬ মাসের অন্তঃসত্তা। এ ঘটনায় আটঘরিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের ষাটগাছা গ্রামে।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, আটঘরিয়া উপজেলার ষাটগাছা গ্রামের আব্দুল খালেকের লম্পট ছেলে মিরাজুল ইসলাম (২৪) বাড়ির পাশের জনৈক ব্যক্তির ৭ম শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রথমে প্রেম অতঃপর প্রেমের সম্পর্কের জেরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে চলতি বছর ৩ মার্চ তারিখে ঐ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এর পরেও তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে মিরাজুলকে বিয়ে প্রস্তাব দিলে সে অস্বীকার করে। এর পর গত ৪ নভেম্বর ঐ স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরিক্ষা করা হলে তার পেটে ২৫ সপ্তাহের বাচ্চা দেখা যায় বলে চিকিৎসক জানান।
পরে ৬ নভেম্বর ঐ স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মিরাজুল ইসলামের নামে আটঘরিয়া থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী) (০৩) এর ৯ (১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ধর্ষণ মামলা বিষয়ে পাবনা আটঘোরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, এই বিষয়ে গত বৃহঃবার রাতে ধর্ষিতার মেয়ের বাবা থানাতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। রাতেই মামলা রজু করা হয়েছে। রাতেই অভিযান করে অভিযুক্তকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ধর্ষণের অভিযুক্তকারী ওই মেয়েটি সম্পর্কে আত্মীয়া হয়। শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
-জেড
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: