রহমত নিউজ 09 September, 2025 07:58 PM
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেছেন, নির্বাচিত সরকার না থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ সবকিছুই চলছে ঢিমেতালে। দেশে ক্রমেই অস্থিতিশীলতা বাড়ছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে মারামারি, হানাহানি, চুরি, ছিনতাই, মব আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে চলমান সংকট নিরশনে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই জরুরী। অন্যথায় স্বার্থন্বেষী মহল বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে করবে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানোা এক বিবৃতিতে এসব তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পবিত্র কাবা ঘরের আদলে নুরাল পাগলার মাজার তৈরি করে আল্লাহর ঘরের অবমাননা,শরীয়ত বিরোধী অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে এবং এ কারনে বিক্ষুব্ধ জনতা নুরালের লাশ পোড়ানোর ঘটনা খুবই আপত্তিকর ও দুঃখ জনক। তবে এ ঘটনায় নিরপরাধ আলেম-ওলামাদেরকে ফাঁসানো আরো দুঃখজনক। ইতোধ্যেই আলেম-ওলামাদের ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে, মামলার ভয়ে ঐ এলাকা ও আশপাশের অনেক মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ছুটিতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। রাজবাড়ীতে যা ঘটেছে স্থানীয় প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগে থেকেই প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এই বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
তিনি আরো বলেন, আইন শৃঙ্খলার দুর্বলতা ও চরম অবনতির কারনে সারা দেশে আলেম - ওলামাসহ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশবাসী উদ্বিগ্ন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা মুস্তাক আহমদ গাজি নগরী ও ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিব ও ভোলা আলীয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস এবং ইসলামের ঐক্য আন্দোলনের ভোলা জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আমিনুল ইসলাম নোমানী হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী আরো বলেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া সুষ্ঠু ভাবে দেশ পরিচালনা সম্ভব নয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিজস্ব জনবল কম থাকায় জনগণের কাঙ্খিত সেবা দিতে পারছে না। এজন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা ব্যাতিত চলমান সংকটের কোন সমাধান হবে না।
মাওলানা মিয়াজী বলেন, অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের দায়িত্ব ছিল প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করে জনগণের পছন্দের প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কারণ নির্বাচিত শক্তিশালী সরকার না থাকায় সংস্কার, বিচার,আইন শৃঙ্খলার উন্নতি,বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানসহ কোন কাজেই গতি পাচ্ছে না। নির্বাচন যতই বিলম্বিত হচ্ছে ততই সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্রমেই জনগণের আস্থা হারাবে। এবং দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আবার আওয়ামীলীগ ফিরে আসার ক্ষেত্র তৈরি হবে। আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসলে কারোর জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।