| |
               

মূল পাতা মুসলিম বিশ্ব নিরাপত্তা পরিষদের দুইটি স্থায়ী সদস্য দেশ আমাদের সহযোগিতা করছে : আফগান উপপ্রধানমন্ত্রী


নিরাপত্তা পরিষদের দুইটি স্থায়ী সদস্য দেশ আমাদের সহযোগিতা করছে : আফগান উপপ্রধানমন্ত্রী


মুসলিম বিশ্ব ডেস্ক     20 October, 2024     02:29 PM    


জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দুটি স্থায়ী সদস্য দেশ সংস্থাটির বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে আফগানিস্থানকে সহযোগিতা করছে বলে দাবি করেছেন আফগানিস্তানের অন্যতম উপপ্রধানমন্ত্রী মৌলভী আব্দুল কবির। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর ২০২৩) তিনি এক অনুষ্ঠানে বলেন, অতীতে নিরাপত্তা পরিষদে ইমারতে ইসলামী আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রস্তাবনা (রেজুলেশন) পাশ হয়েছে। তবে রাজনৈতিকভাবে আমরা  এমন অবস্থানে পৌঁছতে পেরেছি যে, এখন  সংস্থাটির দুইটি স্থায়ী সদস্য দেশ এর বৈঠকগুলোতে অধিকাংশ সময় ইমারতে ইসলামীর পক্ষে সহযোগিতা করছে। ফলস্বরুপ, এমনকি ‘আমর বিল মারুফ (সৎ কাজে আদেশ); সংক্রান্ত বিলটি যখন সারাবিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করে ফেলেছিল তখনও জাতিসংঘ আমাদের বিরুদ্ধে কোন প্রস্তাবনা (রেজুলেশন) পাশ করতে পারেনি।

আফগানিস্তানের রাজনৈতিক বিষয়াদি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই উপপ্রধানমন্ত্রী তাঁর দেশের মাটি অন্য কোন দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত না হওয়ার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, যদি আন্তর্জাতিক বিশ্ব আফগানিস্তানে তাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এমন কোন গোষ্ঠীর বিষয়ে উদ্বিগ্ন থাকে তবে আমরা তাদের বলতে চাই আপনাদের জন্য আগেও কোন সমস্যা ছিল না। আর এই আপনাদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত একপাক্ষিক দাবি। এরকম কোন সমস্যার আদৌ কোন অস্তিত্ব নেই।

আফগান উপপ্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি উদাহরণ দিতে গিয়ে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে ইমারতে ইসলামীর ৪০ টি কুটনৈতিক মিশন কাজ করছে বলে জানান। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, তাঁর ইরান ও কাতার সফরে তিনি ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালী, জার্মানী ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেছেন। এসব বৈঠকে দেশুগুলোর প্রতিনিধিরা‘মেয়েদের শিক্ষা’ ইস্যূটি বাদে ইমারতে ইসলামীর সাথে সম্পর্ক রাখতে তাদের কোন সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি তাদেরকে দৃঢ়ভাবে বলেছি যে, মেয়েদের শিক্ষার প্রসঙ্গটি বাদে আপনাদের সাথে অন্য যে কোন বিষয়ে কাজ করতে প্রস্তুত আছি। তিনি আফগানিস্তানে আমেরিকার ২০ বছরের আগ্রাসনের সমালোচনা করে বলেন, এই বিশ বছরে আফগানিস্তানে মাদকের ব্যবহার সর্বোচ্চ সীমায় উঠেছিল।