রহমত নিউজ 17 August, 2023 08:15 AM
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ব্রিকস সম্প্রসারণ ও গ্রুপে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তটি সদস্য দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার উপর নির্ভর করছে, এটা তাদের উপর নির্ভর করে। এটা তাদের আলোচনার বিষয়। আমাদের উপর নির্ভর করে না। আফ্রিকা একটি ‘উদীয়মান রাষ্ট্র’ এবং বাংলাদেশ ওই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ততটা শক্তিশালী নয়। আমরা সেখানে দুটি মিশন খুলেছি। প্রধানমন্ত্রী তাদের নির্দেশনা দেবেন (বৃহত্তর প্রচেষ্টা করার জন্য)।
বুধবার (১৬ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে, গত ৩ আগস্ট একটি সংবাদ সম্মেলনে ভারত সরকোরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছিলেন, গত বছর সংশ্লিষ্ট নেতাদের মাধ্যমে বাধ্যতামূলকভাবে ব্রিকস সদস্যরা অভ্যন্তরীণভাবে গ্রুপের সম্প্রসারণের পদ্ধতি, নির্দেশিকা নীতি, বৈশিষ্ট্য ও মানদণ্ড নিয়ে আলোচনা ও পরামর্শ করেছে এবং সম্পূর্ণ একমত হয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেমন উল্লেখ করেছেন, আমরা খোলা মন এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। আমরা কিছু ভিত্তিহীন গুঞ্জন শুনেছি, আর তা হলো সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে ভারতের আপত্তি রয়েছে। এটি একেবারেই অসত্য।
চীন বলেছে, ব্রিকসের সম্প্রসারণে গ্রুপের পাঁচ সদস্যকে রাজনৈতিকভাবে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং ব্রিকসে যোগদানের বিষয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে মন্তব্য করে বলেছেন, ‘চীন ব্রিকস সম্প্রসারণকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ব্রিকসের বড় পরিবারে আরও সমমনা অংশীদার আনতে প্রস্তুত।’
১৯ জুন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রুপ ব্রিকসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের আমন্ত্রণ জানালে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে। তারা আমাদের আমন্ত্রণ জানালে আমরা অবশ্যই যোগ দেব। আমরা এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি (আমাদের যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়ে)। ব্রিকস নেতারা কিছু উদীয়মান অর্থনীতির দেশ নেওয়ার কথা ভাবছেন। এর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশসহ প্রায় আটটি নতুন দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে যাওয়া ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কোভিড-১৯ মহামারির পর এটিই হবে সশরীরে আয়োজিত প্রথম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন।