| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক উপমহাদেশ বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা হচ্ছে : মমতা মুখোপাধ্যায়


বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা হচ্ছে : মমতা মুখোপাধ্যায়


রহমত নিউজ ডেস্ক     16 January, 2023     10:32 PM    


পশ্চিমবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী মমতা মুখোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা হচ্ছে। বুঝতে পারছেন আপনারা, কীভাবে হ্যারাস (হয়রানি) করছে! বদলা নেবো, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেবো, বদল আমি করবোই। মনে রাখবেন, আমি বুলডোজারের পক্ষে নই। তবে গণতন্ত্রে যারা বুলডোজার চালায়, তাদের ক্লোজার হবেই। টাকা না দিয়ে খালি কেন্দ্রীয় দল পাঠাচ্ছে। টাকা নেই, বিজেপির দরকার নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে রেখে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি এলাকায় এক সভা থেকে তিনি এসব কথা বলেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ফারাক্কার পানি নিয়ে চুক্তি হয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এলাকার উন্নয়নে ৭০০ কোটি রুপি দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু তা আজও দেওয়া হয়নি। মুর্শিদাবাদের সব আছে। গঙ্গা-পদ্মা আছে। গঙ্গা-ভাগীরথী মিশে গেছে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সঙ্গে। কিন্তু আজ এখানে নদীর ভাঙনে লাখ লাখ মানুষ গৃহছাড়া হচ্ছে। এই নদীভাঙন আটকানো উচিত ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। আমরা তাদের বলছি, যদি নদীভাঙন রোধ করতে না পারেন, তাহলে আমাদের টাকা ফেরত দেন। ভাঙন ঠেকাতে যা যা করা উচিত, তা করতে হবে। নাহলে আমরা ছেড়ে কথা বলবো না।

‘মিড ডে মিল’ নিয়ে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আগামী ২০ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে আসছেন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তারা। কেন্দ্র থেকে রাজ্যে দফায় দফায় লোক পাঠানো নিয়ে এদিন ফের উষ্মা প্রকাশ করে মমতা ব্যানার্জী বলেন, রাজ্য সরকারকে উত্ত্যক্ত করতেই কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হচ্ছে। রোজ রোজ কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হচ্ছে, যেন ভারতের আর কোথাও ঘুরতে যাওয়ার দরকার নেই। গাড়িতে টেনে নিয়ে একটি মেয়েকে মেরে ফেললো- সেই দিল্লিতে পাঠাচ্ছে না তো। কোথায় থাকেন যখন গুজরাটে মারে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় দল সেখানে যায় না।’

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে লাখ লাখ মানুষ বিপদে পড়লো। কেন্দ্রীয় কর্মকর্তাদের দল সেখানে যায় না। উত্তর প্রদেশে অত্যাচার হলে কেন্দ্রীয় দল যায় না। আর এখানে বিজেপিকে উইপোকা কামড়ালেই কেন্দ্রীয় দল চলে আসে। ঘরে জোনাকি পোকা ঢুকলে চলে আসে। একটি চকলেট বোমা ফাটলেও এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) তদন্ত করতে চলে আসে।’ রাজ্যকে উত্ত্যক্ত করতেই এমনটি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল সুপ্রিমোর।