| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় অবিলম্বে অর্থায়ন করতে হবে’


‘জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় অবিলম্বে অর্থায়ন করতে হবে’


রহমত নিউজ     29 October, 2022     06:30 PM    


শুধু প্রতিশ্রুতির মধ্যে না থেকে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় এখনই অর্থায়ন করতে ধনী দেশগুলির প্রতি আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ধনী দেশগুলোকে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় শুধু ফাঁপা প্রতিশ্রুতি না দিয়ে অবিলম্বে অর্থায়ন করতে হবে।-বাসস

লন্ডনে যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক চ্যাথাম হাউজ আয়োজিত জলবায়ু বিষয়ক এক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি এ আহবান জানান। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মিশরীয় রাষ্ট্রদূত এবং কপ-২৭-এর প্রেসিডেন্টের বিশেষ প্রতিনিধি ওয়ায়েল আবুলমাগদ এবং চ্যাথাম হাউজের নির্বাহী পরিচালক আনা ইয়াং, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি প্রোগ্রামের পরিচালক প্রফেসর টিম বেন্টন ও রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট আনা অ্যাবার্গ আলোচনায় অংশ নেন। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্লাসগোর কপ-২৬ এ জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবেলা বিষয়ক আলোচনায় বিশ্বের প্রথম শীর্ষ পাঁচ নেতাদের অন্যতম ছিলেন। কপ-২৭ এও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির অগ্রণী কণ্ঠস্বর হিসেবে তাঁর সরকারের অবিচল ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই জাতির পিতার নামানুসারে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান’ গ্রহন করেছেন, যা বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলার ক্ষেত্রে একটি দীর্ঘমেয়াদি, কৌশলগত ও স্বল্প-কার্বন নীতি-কাঠামো এবং আমাদের জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার পরিপূরক।

ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু থেকে বিশ্ব নেতাদের মনোযোগ অন্যত্র সরে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই কপ-২৭ জলবায়ু পরিবর্তন সৃষ্ট সংকট নিরসনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি, এই স্মমেলনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির ক্ষতি মোকাবিলায় শিল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের ফান্ড থেকে অবিলম্বে অর্থায়ন, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে কম খরচে এবং সহজে গ্রিন টেকনোলজি প্রদান এবং জলবায় পরিবর্তনের কারণে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, খরা ও বন্যাসহ নানাবিধ কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের পুনর্বাসনের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।